দোহারে অবৈধ ভাবে পদ্মাতীরে বালু উত্তোলন

396

আবু নাইম, নিউজ ৩৯

দোহার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে তা বিক্রির হিড়িক পড়েছে। সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের মৈনট ঘাটে এবং নারিশা পশ্চিম চরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের করে রাস্তার পাশে তা স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এলাকার একটি  প্রভাবশালী মহল এ বালু ব্যাবসায়ের সাথে জড়িত।

প্রকাশ্যে অবৈধ ভাবে বালূ উত্তোলন করে বিক্রি করলেও এলাকার কেউ তার প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। প্রতিদিনই এখান থেকে দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাকে করে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত বালু সরবরাহ করে। আর ট্রাকে করে বালু বহন করার সময় কোন তাবু ব্যবহার করা হয় না। সম্পূর্ন খোলা ভাবে এ বালু বহন করা হয়। যার ফলে বাতাসে বালু ছড়িয়ে পড়ে পথচাড়ীদের চোখে মুখে ধুলা গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করছে।

উপজেলার প্রধান প্রধান রাস্তার পাশে বালুর স্তুপ করে রাখার কারনে রাস্তায় যান চলা চলে সমস্যা হচ্ছে। যার ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় রকমের দূর্ঘটনা। মৈনট ঘাটের কয়েকজন বালু ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায় এলাকার প্রভাবশালি ব্যক্তিরা এ বালু ব্যবসায়ের সাথে জড়িত।

অন্য খবর  দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দোহার গ্রীন আর্মির সাক্ষাত

বালু উত্তোলন

খোলা অবস্থায় বালু সরবারহ পথচারীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে

এলাকাবাসীর অভিযোগ এভাবে বালু উত্তোলনের পলে পদ্মা নদী আবার তাদের ঘরবাড়ী গ্রাস করে নিবে। সরকারী ভাবে এভাবে বালু উত্তোলন করা নিষেধ থাকলেও ক্ষমতাসীনদের ছত্র ছায়ায় দেদারে অবৈধ ভাবে এ বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসন করছে না কোন তদারকী। ফলে যে কোন সময় এভাবে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে পদ্মা রুপ নিতে পারে সর্ব গ্রাসী রুপে।  

বালু উত্তোলন

পদ্মার তীরবর্তী স্থান থেকে বালু উত্তোলন

আপনার মতামত দিন