দোহারে সমবায় দিবস পালিত হল

521

কামরুজ্জামন টুটুল, নিউজ ৩৯ ♦ শনিবার সমবায়ের উদ্যোক্তা সৃষ্টি, যুবদের দুরদৃষ্টি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৪০তম সমবায় দিবস পালিত হচ্ছে।  ৫ নভেম্বর সমবায় দিবস পালিত হবার কথা থাকলেও এবার ঈদ-উল আজহার কারনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৯ নভেম্বর এই দিবস পালিত হচ্ছে। সারাদেশে এক যোগে সকল জেলা উপজেলায় বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়েছে।

একইসাথে দোহার উপজেলায়ও পালিত হল এই জাতীয় সমবায় দিবস। এবারের দিবসের স্লোগান হচ্ছে “সমবায়ের উদ্যোক্তা সৃষ্টি, যুবকের দূরদৃষ্টি।” সমবায় দিবস সফল করার জন্য এবারই প্রথম দোহার উপজেলায় সমবায় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলার কমপ্লেক্সের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ মেলায় দোহারের বিভিন্ন সমবায় সমিতি অংশগ্রহন করে।

৪০ তম জাতীয় সমবায় দিবস সফল করার জন্য দোহার উপজেলার সমবায়ী ও উপজেলা সমবায় কার্যালয় একটি অলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে গৃহায়ন ও গন-পূর্ত প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. আব্দুল মান্নান খানের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অস্বুস্থতার কারনে তিনি উপস্থিত হতে পারেন নি। আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আলী আহসান খোকন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আনার কলি পুতুল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথীন্দ্রনাথ দত্ত।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জে ব্যস্ত ধুনকররা

১৮৪৪ সালে ইংল্যান্ডের রডচেল শহরে ২৮ জন বেকার ও দরিদ্র তাঁতি মাত্র ২৮ পাউন্ড মূলধন নিয়ে সমবায় শুরু করে। অতি অল্প সময়ে তারা এর সাফল্যও পান। এতে অনেকেই অনুপ্রাণিত হন।

ক্রমে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে সমবায় ধারণা ছড়িয়ে পড়ে। মানবসম্পদ উন্নয়নসহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে সমবায়ের দ্রুত প্রসার ঘটতে থাকে। স্বল্পবিত্ত মানুষের সম্মিলিত চেষ্টায় মূলধন জমতে থাকে। উৎপাদনমুখী লাভজনক কর্মকাণ্ডে তা কাজে লাগানো হয়।
এতে দ্রুত সদস্যদের জীবনযাত্রার মান বাড়তে থাকে। তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা ও লভ্যাংশের সুষম বণ্টনই হচ্ছে সমবায়ের মূল ভিত্তি।

জাতিসংঘ ১৯৯৫ সালের জুলাই মাসের প্রথম শনিবার এ দিনটি পালনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে। মূলত এ দিবসটি ঘোষণার উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিকভাবে সমবায় জোট গড়ে তোলা, সারা বিশ্বের ৭৬০ মিলিয়ন সমবায়ীকে এক ছাতার নিচে একত্রিত করা।

আপনার মতামত দিন