নবাবগঞ্জে ৫ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

315

ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে ১৬৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫ লাখ টাকাসহ পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে সিংগাইর থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ  থেকে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরাসহ ৪টি ওয়াকি-টকিও উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে  মনির হোসেন বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় একটি মামলা করে। আটক ছিনতাইকারীরা হলো।

শরিয়তপুর উপজেলার নড়িয়া উপজেলার মূলফদগঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন শান্তর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন(২৭), মাইক্রোবাসের চালক কুড়িগ্রাম জেলার বুড়িঙ্গামারী উপজেলার ময়দাশ গ্রামের মৃত তৈজদ্দিনের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৩৬), ঢাকার  ২১৮/৫ পশ্চিম আগারগাঁও বাসিন্দা আব্দুর রব সুলতানের ছেলে রহিম সুলতান, ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার চর ওয়াশপুরের আফসার উদ্দিনের ছেলে আলামিনকে (২৬) আটক করে। মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেনের ম্যানেজার কমল একটি স্কুল ব্যাগে করে ১৬৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৫ লাখ ৪ হাজার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে তার মালিকের বাড়ি যাচ্ছিলেন। কমল চারিগ্রাম পুরনো বাসস্ট্যান্ড মোড়ে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-৪৬৪১) মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। পরে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৭/৮ জন লোক তাকে মারধর করে টাকা ও স্বর্ণের ব্যাগটি নেয়। এসময় ম্যানেজার কমলের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারী চক্রের অন্য সদস্যরা দ্রুত পালিয়ে গেলেও সুমন (৩০)নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে এলাকাবাসী। সুমন ভোলা লালমোহন উপজেলার চর তিথির গ্রামের কালু ওরফে ইদ্রিসের ছেলে।

অন্য খবর  যাকাত আদায়ে বিভাগ সেরা দোহারের ইউএনও

এসময় সিংগাইর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের দুটি টহল দল ও স্থানীয় লোকজন মোটরসাইকেলে করে ছিনকারীদের বহনকারী মাইক্রোবাসের পিছু নেয়। পরে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বালুর মাঠ থেকে মাইক্রোবাসসহ তাদের আটক করা হয়।

আপনার মতামত দিন