সিরাজদিখানের কোষা নৌকার কিছু কথা

745

শুরু হয়েছে বর্ষা মৌসুম। সিরাজদিখান ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার নিম্নাঞ্চল বর্ষা মৌসুম শুরুর সাথে সাথে পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় এ সব এলাকার মানুষের চলাচলের প্রধান বাহন হচ্ছে এখন নৌকা। আর এ নৌকার চাহিদার বড় অংশ পূরণ করছে সিরাজদিখানের মিস্ত্রিরা। তাদের তৈরি নৌকার অনেক কদর। সারা বছর বিভিন্ন ফার্নিচার তৈরির কাজ করলেও বর্ষা মৌসুম শুরুর কিছু আগেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন নৌকা তৈরির কাজে। বিভিন্ন এলাকা থেকে চাহিদার উপর ভিত্তি করে তারা নৌকা তৈরি করে থাকেন।

সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নৌকা তৈরি হয়। তবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এলাকা হচ্ছে সিরাজদিখান, ইছাপুরা, তালতলা, বালুচর, ভাড়ারিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা। সিরাজদিখান বাজারের কাঠ মিস্ত্রী মোঃ সুলতান জানান, চাহিদা অনুযায়ী তিনি বিভিন্ন ধরনের নৌকা তৈরি করে থাকেন। তবে এলাকায় বর্তমানে কোষা নৌকার কদর বেশি। কোষা নৌকার সাহায্যে এলাকার মানুষ চলাচল, গৃহস্থালীর কাজকর্ম, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত, মাছ ধরাসহ বিভিন্ন কাজ করে থাকে। তবে অনেকে শখের কারণে ভ্রমণের উদ্দেশ্য কোষা কিনে থাকেন। তিনি আরো জানান, এ বছর তিনি প্রায় ২শ নৌকা তৈরি করবেন।

অন্য খবর  দোহার উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে নবগঠিত পৌর ছাত্রলীগের সৌজন্য সাক্ষাৎ

উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের কাঠ মিস্ত্রী গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল জানান, একজন মিস্ত্রি প্রতিদিন একটি কোষা নৌকা তৈরি করতে পারেন। চাম্বল কাঠের ১০ হাত লম্বা ও ৩ হাত পাশ একটি কোষা নৌকা তৈরি করতে মজুরিসহ খরচ পড়ে প্রায় ২ হাজার ৫শ টাকা। বর্তমানে বাজারে তা বিক্রি করা যায় প্রায় তিন হাজার টাকা। তবে এ বছর নৌকা তৈরির জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি। কিন্তু নৌকার দাম তেমন বাড়েনি। এ ধরনের কোষা নৌকা সাধারণত ২/১ বছর চলে।

কোষা নৌকা ক্রেতারা হাট-বাজার থেকে ক্রয় করে আবার নৌকা তৈরির কারখানা থেকেও ক্রয় করে থাকে। আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ব্যবসায়ীরা নৌকা ক্রয় করে ট্রাক, ট্রলি, ভ্যান, কিংবা বড় সাইজের নৌকায় ভরে নিয়ে যায়। তবে মিস্ত্রীরা জানান, এ বছর বন্যা হবার আশঙ্কায় তাদের বেশি নৌকা তৈরির প্রস্তুতি রয়েছে এবং অর্ডারও পেয়েছেন।

 

আপনার মতামত দিন