সালমান এফ রহমানের সঙ্গে মার্কিন সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

179
সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সফররত মার্কিন সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়ান স্টেফের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার সকালে উপদেষ্টার গুলশান কার্যালয়ে ওই সাক্ষাৎ-বৈঠক হয়। এতে  ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারও উপস্থিতি ছিলেন। বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, কৃষি, অবকাঠামো ও অর্থনীতিসহ আর্থ-সামাজিক খাতে গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অসামান্য অর্জনের বিস্তারিত তুলে ধরেন উপদেষ্টা।

দেশে বিনিয়োগ উৎসাহিত করা এবং ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে সরকার যেসব উদ্যোগ বা ব্যবস্থা নিয়েছে, যার মধ্যে উন্নততর ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিবেশ, ডিজিটাইজেশন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য চালু হওয়া ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’- এর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বৈদেশিক বিনিয়োগ আরও বেগবান করতে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসমূহও ব্যাখ্যা করেন উপদেষ্টা। মার্কিন সহকারী মন্ত্রী ইয়ান স্টেফ বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর মধ্যে যে ক্রমবর্ধমান আস্থা ও আশাবাদ বিরাজ করছে, তা উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে বালিকাদের মাঝে সালমান এফ রহমানের সাইকেল বিতরন

মন্ত্রী জানান, মার্কিন বহু কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ কিংবা বিদ্যমান ব্যবসা সমপ্রসারণে আগ্রহী। এক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের জ্বালানী, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, এলএনজি খাত বিশেষ করে ড্রেজিং-এ মার্কিন কোম্পানিগুলোর আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন। স্টেফ বাংলাদেশে মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য ই-কমার্স ও ব্যাংকিং সিস্টেম সংক্রান্ত কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। তিনি মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন ও নকল (কাউন্টার ফেইট) পণ্যের প্রসঙ্গও বৈঠকে উত্থাপন করেন। জবাবে উপদেষ্টা বলেন, স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের তালিকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের উত্তরণ শেষে মেধাস্বত্ব বিষয়ক বিধি বিধান যথাযথ প্রতিপালনসহ পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্দেশ্যে একটি স্থায়ী সেল গঠন করা হয়েছে। নকল পণ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো গুরুতর ঘটনা তার নজরে আসেনি। তবে তিনি প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন যে, পণ্য নকল করার যে কোনো ঘটনার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে বৈঠকে উভয় পক্ষ দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আপনার মতামত দিন