সামরিক শক্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৬তম

    185

    সামরিক খাত নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা করে বিশ্বে সুপরিচিত এমন একটি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সামরিক শক্তির বিচারে বিশ্বের ১৩৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৫৬তম। তাদের তৈরি তালিকায় গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭ তম ছিল। চলতি বছরে বাংলদেশ একধাপ উপরে উঠে এসেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সামরিক শক্তি বিচারে সবার উপরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গত ১২ বছর ধরে সংস্থাটি এ ধরণের তালিকা প্রকাশ করে আসছে।
    সংস্থাটির হিসেবে, বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর মোট সদস্য ২২৫০০০। এরমধ্যে সক্রিয় রয়েছে ১৬০০০০ ও সংরক্ষিত সেনা সদস্য রয়েছে ৬৫০০০। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর বিমানের সংখ্যা জানানো হয়েছে ১৭৩টি। এরমধ্যে, ৪৫টি ফাইটার এয়ারক্রাফট, ৪৫টি অ্যাটাক এয়ারক্রাফট, ৬৪টি হেলিকপ্টার ও ৫৭টি ট্রান্সপন্ডার।

    বাংলাদেশের কোনো এটাক হেলিকপ্টার নেই। কেবল একটি দেশের সামরিক সরঞ্জামের সংখ্যা দিয়ে এই শক্তিমত্তার বিষয়টি নির্ণয় করা হয়নি। বরং কোনো দেশের সামরিক সরঞ্জাম কতটা বৈচিত্রপূর্ণ সেটিও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক সম্পদসহ আরো কিছু বিষয়। সেনাবাহিনীতে রয়েছে, ৫৩৪টি কমব্যাট ট্যাংক, ৯৪২টি সাঁজোয়া যান, ১৮টি সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি ও ৩২ টি রকেট প্রজেক্টর। নৌবাহিনীতে রয়েছে মোট ৮৯টি নৌযান। এরমধ্যে, ফ্রিগেট ৬টি, সাবমেরিন ২টি, প্যাট্রল ভেসেল ৩০টি ও মাইন ওয়ারফেয়ার ৫টি। বাংলাদেশের কোনো বিমানবাহী রণতরী নেই। সামগ্রিক সামরিক শক্তি পরিমাপের ক্ষেত্রে সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর শক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাজেট ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার।
    চলতি বছরের মে মাসে সুইডেন-ভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট বা সিপ্রি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সামরিক ব্যয়েরর চিত্র তুলে ধরে। সে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সামরিক খাতে ১২৩ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। গবেষণা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে সামরিক খাতে ব্যয় ছিল প্রায় ৬,৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৭ সালে সামরিক খাতে ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮,৮০০ কোটি টাকা। বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে সবার থেকে এগিয়ে আছে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। তালিকার প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে, ভারত, ফ্রান্স, বৃটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, তুরস্ক ও জার্মানি।

    আপনার মতামত দিন