শুদ্ধি অভিযানের কারণে একটি কুচক্রী মহল খুশি নয়: ওবায়দুল কাদের

103

দুর্নীতির চক্র ভেঙে দিতেই সারা দেশে শুদ্ধি অভিযান চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন এবং মাদক-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে দেশের শান্তির জন্য পরিচালিত এ অভিযানে একটি কুচক্রী মহল খুশি নয়। সারাদেশে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে তা কোনও দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে নয়। বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতির চক্র ভেঙে দিতেই এ অভিযান। যত বড় প্রভাবশালী হোক যারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিতে চায় তারা কেউই ছাড় পাবে না।’

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি এ বস্ত্র বিতরণের  আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের প্রতি দলের সভাপতির নির্দেশ রয়েছে। তৃণমূলের কমিটি গঠনে বিতর্কিতদের স্থান না দেওয়ার নির্দেশ আছে।’

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারত সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা এক সঙ্গে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করবো।’

অন্য খবর  সন্ধ্যায় বসছে চাঁদ দেখা কমিটি

হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে হিন্দু সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে পূজা উৎসব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পালন করতে পারেন। আপনারা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। আজানের সময় নিরবতা পালন করবেন। পূজা উৎসবকে ঘিরে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আপনারা মাথা উঁচু করে চলবেন। আপনাদের কোনও ভয় নেই। আপনারাও এদেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক। মুসলমানদের চেয়ে আপনাদের মর্যাদা কম নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আপনাদের পাশে রয়েছে। পূজা উদযাপনে কোনও অপশক্তি যেন বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সে দিকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোররঞ্জন মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত দিন