শিক্ষক সংকটে নবাবগঞ্জের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়

1161

শিক্ষার্থী আছে শিক্ষক নেই এক কক্ষেই চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঠদান। মাত্র দুই জন শিক্ষক দিয়ে চলছে বারুয়াখালী ইউনিয়নের ৬ নং কাউনিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রথম শিফটে শিশু শ্রেণী, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি ক্লাস চলে থাকে। দ্বিতীয় শিফটে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চলে। মাত্র দুই জন শিক্ষকের মধ্যে প্রতি শিক্ষক প্রথম শিফটে চার পিরিয়ড ও দ্বিতীয় শিফটে ছয় পিরিয়ড ক্লাস নিতে হিমশিম খাচ্ছেন। যার ফলে ভালোভাবে পাঠদান দিতে পারেন না। এতে দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীর সংখা কমে যাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে এ স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ একেবারেই ভেঙে পড়েছে।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে একটি পাক-প্রাথমিক পদ, প্রধান শিক্ষকের একটি পদ ও সহকারি শিক্ষকরে পাঁচটি পদসহ মোট সাতটি পদ রয়েছে। এর ভেতর গত ২৮ ফেব্রুয়ারী একজন শিক্ষক সেচ্ছায় অবসর গ্রহন করেন। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরে তিনটি পদ শূন্য রয়েছে। আবার দুই জন শিক্ষক মো: আবজাল হোসেন ও বিউটি সাহা ডেপুটেশনে রয়েছেন। এখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পাক-প্রাথমিকের শিক্ষক মিলে বিদ্যালয়ের পাঠদানের কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রধান শিক্ষক মাসিক সমন্বয় মিটিং ও জরুরি প্রয়োজনে উপজেলা সদরে গেলে তখন একজন শিক্ষক দিয়ে ক্লাস পরিচালনা করতে হয়।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে টিকেএম উচ্চ বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী থাকা সত্বেও শিক্ষক সংকটের কারণে নামমাত্র লেখাপড়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আসে আর যায়। শিক্ষক না থাকায় ক্লাস চলাকালিন সময়ও তারা বাহিরে খেলাধূলা করছে। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবির হোসেন বলেন, আমাগো স্যার নাই ঠিক মত লেখাপড়া করতে পারি না। স্যার নাই তাই ফোর আর ফাইভ একলগে ক্লাস করি। সামনে আমাগো পরিক্ষা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাকা রাশিদা পারভীন নিউজ থার্টিনাইনকে জানান, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ১৩৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে দুই জন শিক্ষক হিসেবে পাঠদান দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই বাধ্য হয়ে একই কক্ষে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর একত্রে পাঠদান দিচ্ছি।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন অভিবাবক বলেন, স্কুলে যদি স্যার না থাকে তাইলে আমাগো পোলাপানকে ক্যামনে লেহাপড়া হিকবো। এমনিই পোলাপান লেখাপড়া করতে চাই না তার ভিতর যদি স্যার না থাকে তাইলে তো আমাগো মতই আমাগো পোলাপান মূর্খ হইয়া থাকবো।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কাজী সালাহ্ উদ্দিন বিদুৎ নিউজ থার্টিনাইনকে বলেন, আমি মৌখিক ও লিখিত ভাবে অনেক বার উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারের নিকট অভিযোগ করেছি। শিক্ষক সংকটের কারনে এমনটা হচ্ছে বলে উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দাবি করেন।

অন্য খবর  দোহারে ৪২তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০২০ অনুষ্ঠিত

 

 

আপনার মতামত দিন