বান্দুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সহ-সভাপতির সন্ত্রাসী হামলা

1061
বান্দুরা

ঢাকার জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানা ও সহ-সভাপতি শাকিলের উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তাদেরকে হত্যা উদ্দেশ্যে চালানো এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার। রবিবার রাতে উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামে এঘটনা ঘটে। মাসুদকে ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বান্দুরা ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি জিয়াউদ্দিন নের্তৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ভোক্তাভোগী পরিবারের।

আহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বান্দুরা ইউনিয়নের বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদলের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউদ্দিনের ভাই ইখতিয়ার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাকে মাদক ব্যবসায় নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে ইখতিয়ার ও তার সহযোগীরা মাসুদ ও শাকিলের উপর হামলা চালায়। রবিবার রাত আনুমানিক ১১টায় শাকিল ও তার তার ভাই রকি’র উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে যুবদল নেতা জিয়া মেম্বার, তার ভাই ইখতিয়ার, নাহিদ ও ইমরানসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন সন্ত্রাসীরা। এসময় জিয়া মেম্বারের আরেক ভাই হান্নান মোবাইলে ডেকে নেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানাকে। মাসুদ ঘটনাস্থলে যাওয়ার সাথে সাথে তার উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি  করা হয়। তবে মাসুদের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা পাঠানো হয়।

অন্য খবর  কে হচ্ছেন নবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী

মাসুদের ছোট ভাই বিপ্লব জানান, ইখতিয়ার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তার ভাই যুবদলের সভাপতি জিয়া মেম্বারের সেল্টারে তিনি এলাকায় মাদক ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছেন। মাদক ব্যবসায় বাঁধা আমার ভাইকে হত্যার চেষ্টা করেছে ওরা। এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে। তিনি আরো জানায়, এর আগেও ইখতিয়ার নতুন বান্দুরা সুজন সান্দার ও কালু নামে দুজনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত জিয়া মেম্বারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নবাবগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মিজানুর রহমান বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ হয়নি।

আপনার মতামত দিন