ঢাকা-১ এ লড়াই হবে দুই শিল্প গ্রুপের

698

ঢাকা-১ নির্বাচনী আসনে লড়াই হচ্ছে মূলত দুই শিল্প গ্রুপের। দেশের স্বনামধন্য বেক্সিমকো গ্রুপ ও যমুনা গ্রুপের। বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার সালমান এফ রহমান লড়ছেন নৌকা প্রতীকে আর যমুনা গ্রুপের কর্ণধার নুরুল ইসলাম বাবুলের স্ত্রী সালমা ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মোটরগাড়ি প্রতীকে। বরাবরের মতো, এইবারও এই আসনটি সারাদেশে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই দুজনের হাতে রয়েছে মিডিয়াও। সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন রয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি  ইন্ডিপেন্ডেন্ট; অন্যদিকে সালমা ইসলামের রয়েছে যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক যুগান্তর।

সালমান এফ রহমান হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদ্বেষ্টা আর সালমা ইসলাম হলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার।

তবে এর বাইরে অন্য দলগুলোর প্রার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কালাম হোসেন ও সিপিবির আবিদ হোসেনের কিছু পোস্টারও চোখে পড়েছে।

লাল রঙের দেয়ালে খোদাই করা মহাকবি কায়কোবাদের ছবি। নবাবগঞ্জের কায়কোবাদ গেট দিয়ে ঢোকার পর প্রথম দেখা গেল, সালমা ইসলাম আর সালমান এফ রহমানের নির্বাচনী পোস্টার। রাস্তার দুই ধারে কেবল এই দুজনের পোস্টারই বলে দেয়, লড়াই হবে সালমা আর সালমানের মধ্যেই। কে হবেন ঢাকা-১ (নবাবগঞ্জ-দোহার) আসনের সাংসদ?

অন্য খবর  মাহমুদপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

ভোটারের মনঃ শুক্রবার বিকেলে দোহারের চা–দোকানি বাদশা মিয়া চুপচাপ বসেছিলেন। পরিচয় দিয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, ‘ভাই, এখানে ভোটের কী খবর?’

জবাবে বাদশা মিয়া বলেন, ‘ভোটের আর কী খবর হবে, ভাই। এখানে বিএনপির প্রার্থী নেই। তাই লড়াই হবে গাড়ি আর নৌকায়।’

বাদশা মিয়ার সঙ্গে যখন এই আলাপ চলছিল, তখন মোটরগাড়ির আদলে সাজানো একটি ভ্যান চলে যায় সালমার নির্বাচনী গান বাজাতে বাজাতে।

মিনি কক্সবাজার খ্যাত দোহারের মৈনটঘাটের দিকে সালমানের পোস্টার সালমার থেকে বেশি চোখে পড়ে। নবাবগঞ্জ-দোহারের বাজারে বাজারে সালমানের নৌকার নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র দেখা গেল। অবশ্য সালমার নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রও আছে বাজারগুলোতে। সমান তালে চলছে নির্বাচনী প্রচার আর গান।

দোহার ঘুরে এলাম নবাবগঞ্জে। মোসলেম উদ্দিনের চায়ের দোকানে বসে কয়েকজন ভোটার নির্বাচনী আলাপে ব্যস্ত। একজন বলছিলেন, বিএনপির ভোট যার পকেটে বেশি পড়বে, তাঁর জেতার সম্ভাবনা বেশি। চা–দোকানি মোসলেম বললেন, কে জেতে ভাই, আগে থেকে কেউ বলতে পারবে না?

ভোটের দিন যতই কাছে আসছে, ভোটের উত্তাপ ততই বাড়ছে দোহার-নবাবগঞ্জে। ভোটারের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সালমা আর সালমান। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার ৪০৭। ভোটারের মন জয় করে কে হবেন তাঁদের প্রতিনিধি তা জানার জন্য আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।

আপনার মতামত দিন