প্রতিদিনের হাদিসঃ সাক্ষ্য

533
প্রতিদিনের হাদিস

হাদিস নং ২২৯৮: আনসারী (রহঃ) ……. যায়দ ইবন খালিদ জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদের উত্তম সাক্ষ্যদানকারীর কথা বলব? সে হল ঐ ব্যক্তি যে সাক্ষ্য তলব করার আগেই সাক্ষ্য প্রদান করে। সহীহ, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৯৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

হাদিস নং ২৩০৪: হুমায়দ ইবন মাসআদা (রহঃ) …… আবদুর রহমান ইবন আবূ বাকরা তার পিতা আবূ বাকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের আমি সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব কি? সাহাবীরা বললেনঃ অবশ্যই ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা, পিতা-মাতার নাফরমানী করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কিংবা বলেছেন মিথ্যা কথা বলা। আবূ বাকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতবার কথাটি বলতে থাকলেন যে, আমরা ভাবতে লাগলাম, তিনি যদি চুপ করতেন। সহীহ, গায়াতুল মারাম ২৭৭, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩০১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। এ বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।

অন্য খবর  প্রতিদিনের হাদিস: আন্‌-নওয়াবীর চল্লিশ হাদীস(পর্ব-১০)

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

হাদিস নং ২৩০৫: ওয়াসিল ইবন আবদুল আ‘লা (রহঃ) ……. ইমরান ইবন হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, সর্বোত্তম যুগ হল আমার যুগ, এরপর যারা হবে অব্যহতির পরে। এরপর যারা হবে অব্যবহিত পরে, এরপর যারা হবে অব্যবহিত পরে। এই তিনটি যুগের কথা তিনি বললেন। পরবর্তীতে এমন এক সম্প্রদায় আসবে যারা হবে স্থূলকায় এবং যারা স্থূলকায় হওয়া ভালবাসবে। তারা সাক্ষ্য চাওয়ার আগেই সাক্ষ্য দিতে যাবে।

সহীহ, বুখারী ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩০২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আ‘মাশ-আলী ইবন মুদরীক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত রিয়ায়াত হিসাবে এ হাদীসটি গারীব। আ‘মাশের অন্যান্য শারগিদগণ এটিকে আ‘মাশ-হিলাল ইবন ইয়াসাফ-ইমরান ইবন হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সনদে রিওয়ায়াত করেছেন।

আবূ আম্মার হুসায়ন ইবন হুরাইস (রহঃ) ইমরান ইবন হুসায়ন (রাঃ)  সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। এটি মুহাম্মদ ইবন ফুযায়লের রিওয়ায়াত (২৩০৫ নং) থেকে অধিক সহীহ।

কোন কোন আলিম বলেনঃ ’‘তারা সাক্ষী তলবের আগেই স্বাক্ষ্য প্রদান করবে’’ হাদীসে এ কথাটির মর্ম হল এরা মিথ্যা সাক্ষী দিবে। তিনি বলেন, সাক্ষী না হয়ে কারোর সাক্ষ্য প্রদান।

অন্য খবর  প্রতিদিনের হাদিস: জুমআ ও খুতবা

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

হাদিস নং ২৩০৬: ’উমার ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বরাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীসটিতে এর ব্যাখ্যা বিদ্যমান। তিনি বলেনঃ সর্বোত্তম যুগ হল আমার যুগ, এরপর হল যারা অব্যবহিত পরে আসবে, এরপর হল যারা এদের অব্যবহিত পরে আসবে, এর পরবর্তীতে মিথ্যা প্রসার ঘটবে, এমন কি সাক্ষ্য না চাইলেও তারা সাক্ষ্য দিবে, কসম না দিলেও কসম করবে। সহীহ, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩০৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

‘‘সর্বোত্তম সাক্ষী দাতা হল যে ব্যক্তি তলবের পূর্বেই সাক্ষী দেয়’’ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এই বাণীটির মর্ম হল কেউ যদি কোন ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকে, এবং তার নিকট ঐ বিষয়ের সাক্ষ্য চাওয়া হয় তবে সে সাক্ষ্য প্রদান থেকে বিরত থাকে না। কোন কোন আলিমের কাছে এটাই হল হাদীসটির ব্যাখ্যা।

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

গ্রন্থঃ সূনান তিরমিজী

অধ্যায়ঃ সাক্ষ্য

পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আপনার মতামত দিন