নাজমুল হুদার আপিলের শুনানি ১৩ই জানুয়ারি

    122
    ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা

    ঘুষ গ্রহণের মামলায় হাইকোর্টের চার বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার দায়ের করা লিভ টু আপিলের শুনানি হবে ১৩ই জানুয়ারি। ওইদিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চে এ শুনানি হবে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আদেশ দেন। আদালতে নাজমুল হুদার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সিগমা হুদা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। পরে খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের পাশাপাশি জামিন আবেদনও করেছেন নাজমুল হুদা। ১৩ই জানুয়ারি এটির ওপর শুনানি হবে।’ বর্তমানে নাজমুল হুদা কারাগারে আছেন। গত ৬ই জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২-এ আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান।

    ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার দুর্নীতি মামলায় ২০১৭ সালের ৮ই নভেম্বর হাইকোর্ট নাজমুল হুদার সাজা সাত বছর থেকে কমিয়ে চার বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী সিগমা হুদার সাজা থেকে কারাভোগের সময় বাদ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। প্রায় এক বছর পর গত ১৯শে নভেম্বর বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ হয়। ওই রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় তাকে। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করেছেন নাজমুল হুদা। জরুরি অবস্থার সময়ে ২০০৭ সালের ২১শে মার্চ ধানমণ্ডি থানায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে দুদক। নাজমুল হুদা ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে তিনটি দল গঠন করেন। এরপরে গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি।

    আপনার মতামত দিন