নবাবগঞ্জ-ঢাকার রাস্তায় রাজত্ব দুই পরিবহনের

ঢাকা থেকে নবাবগঞ্জ শহরের দূরত্ব মাত্র ৩৬ কিলোমিটার। কিন্তু এই ৩৬ কিলোমিটারের মধ্যে দাপিয়ে বেরাচ্ছে এন মল্লিক ও যমুনা পরিবহন নামে দুটি বাস মালিক পরিবহন।

বলতে গেলে নবাবগঞ্জে চলছে এই দুই পরিবহনের  রাজত্ব। এ রাজত্বের যাতা কলে পড়েনি নবাবগঞ্জে এমন শ্রেণীর লোক পাওয়া বিড়ল। সরকার নির্ধারিত ভাড়া না মানা, পরিবহনে ভাড়ার তালিকা না থাকা, কাউন্টার সার্ভিসের স্বল্প দূরত্বে গেলেও দূরবর্তী স্থানের ভাড়া আদায় এবং যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দের তোয়াক্কা  না করেই যেনো রাজধানীর অতি নিকটে ঢাকা-বান্দুরা রোডে চলাচলকারী  এন মল্লিক ও যমুনা পরিবহনের নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে।

পরিবহন মালিকদের এই নৈরাজ্যে জিম্মী হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ পরিবহন খাতে যে সব  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার বেশির ভাগই যায় মালিকদের পক্ষে। সরকার কেবল বাস চলার অনুমতি দেওয়া এবং ভাড়া নির্ধারণ করা ছাড়া কিছুই করছে না। ফলে যাত্রী সার্থ হচ্ছে উপেক্ষিত। আর এ কারণে প্রতিবাদকারী যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে ঝগড়া-হাতাহাতি করা বাংলাদের প্রায় সব রাস্তায় এখন নিত্যদিনের ঘটনা।

ঢাকা-বান্দুরাগামী পরিবহনেও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রায় সময় শুনা যায় আজ এন মল্লিককের যাত্রীদের সাথে হেল্পপারের তুমুল জগড়া হয়েছে। আবার অল্প যায়গার দূরত্বে এসেও যমুনা বাসের হেল্পারের সাথে যাত্রীদের  হাতাহাতি হয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায় এর প্রধান কারণ দূরত্ব অনুযায়ী বেশি ভারা আদায়। তবে এসব দেখার কেউ নেই। সরকার প্রতি কিলোমিটার প্রতি এক টাকা ষাট পয়শা (১.৬০) ভাড়া নির্ধারন করে দিয়েছে। সরজমিনে দেখা যায় এ শর্ত এই দুই পরিবহনের কেউই মানছে না।

বান্দুরা থেকে গুলিস্তান এন মল্লিক কাউন্টার পর্যন্ত দূরত্ব ৪২ কিলোমিটার। সরকারি নির্ধারিত ভাড়া আসে ৭১ টাকা, সেখানে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৮০টাকা। অতিরিক্ত ৯ টাকা বেশি আদায় করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার (১০০০) যাত্রী আসা যাওয়া করে অর্থাৎ প্রতিদিন অতিরিক্ত আয় হয় ৯ হাজার টাকা, মাসে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, বছরে আয় হবে ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

মাঝিরকান্দা থেকে গুলিস্তান এন মল্লিক ও যমুনা পরিবহনের কাউন্টার পর্যন্ত দূরত্ব ৩৯ কিলোমিটার। সরকারি নির্ধারিত ভাড়া আসে ৬৬ টাকা ৩০ পয়সা, কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৭৫ টাকা। এখানে অতিরিক্ত ৮ টাকা ৭০ পয়সা বেশি আদায় করা হচ্ছে। গড়ে এ স্থান থেকে  প্রতিদিন ৪০০ জন যাত্রী আসা যাওয়া করে। অর্থাৎ প্রতিদিন অতিরিক্ত আয় হয় ৩ হাজার ৪শ ৮০ টাকা, মাসে ১ লাখ ৪ হাজার টাকা ৪শ টাকা, বছরে আয় হবে ১২ লাখ ৫২ হাজার ৮শ টাকা।

নবাবগঞ্জ থেকে গুলিস্তান এন মল্লিক ও যমুনা পরিবহনের কাউন্টার পর্যন্ত দূরত্ব ৩৬ কিলোমিটার। সরকারি নির্ধারিত ভাড়া হবে ৬১ টাকা ২০ পয়সা, কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৬৫ টাকা। এখানে অতিরিক্ত  ৩ টাকা ৮০ পয়সা বেশি আদায় করা হচ্ছে। গড়ে এ স্থান থেকে প্রতিদিন ৬০০ জন যাত্রী আসা যাওয়া করে। অর্থাৎ প্রতিদিন অতিরিক্ত আয় হয় ২ হাজার  ২শ ৮০ টাকা,  মাসে ৬৮ হাজার ৪শ টাকা, বছরে আয় হবে  ৮লাখ ২০ হাজার ৮শ টাকা।

টিকরপুর থেকে গুলিস্তান এন মল্লিক ও যমুনা পরিবহনের কাউন্টার পর্যন্ত দূরত্ব ২৮ কিলোমিটার। সরকারি নির্ধারিত ভাড়া হবে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৫৫ টাকা। এখানে অতিরিক্ত  ৭ টাকা ৪০ পয়সা বেশি আদায় করা হচ্ছে। গড়ে এ স্থান থেকে প্রতিদিন  ৩০০ জন যাত্রী আসা যাওয়া করে। অর্থাৎ প্রতিদিন অতিরিক্ত আয় হয় ২ হাজার ২শ ২০ টাকা,  মাসে ৬৬হাজার ৬শ টাকা, বছরে আয় হবে প্রায় ৮ লাখ  টাকা।

আবার অল্প দূরত্বে গেলেও গুনতে হয় সম্পূর্ণ ভাড়া। বান্দুরা থেকে রামের কান্দা বাস স্ট্যান্ডের দূরত্ব ২৯ কিলোমিটার এবং কোনাখোলার দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটার কিন্তু সেখানে নামলেও দিতে হয় পুরো ৪২ কিলোমিটারের ভাড়া।

অন্য খবর  ধান কাটা শুরু হয়েছে দোহার-নবাবগঞ্জে

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস আগে  ঢাকা-বান্দুরা রোডে বেসরকারি ভাবে নবকলি নামে একটি পরিবহন আসে কিন্তু এই দুই পরিবনের তোপে বেশিদিন টিকতে পারেনি নবকুলি পরিবহন। শুধু তাই নয় সরকারি পরিবহন বিটিআরছিও এই দুই পরিবহনের কাছে হার মেনে চলে যায়। অনুসন্ধানে দেখা যায় রাজনৈতিক ক্ষমতা  ও টাকার কাছে অসাহায় হয়ে তাদের চলে যেতে হয়েছে।

ঢাকার বাইরে এবং ভিতরে বাস চলাচলের অনুমতি দেয় মহানগর পুলিশ কমিশনারের নেত্রীত্বে একটি কমিটি (মেট্রো আরটিসি)। এই কমিটিতে বাংলাদেশ  সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ (বিটিআরসি) সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি,  একাধিক মালিকও  শ্রমিক সমিতির নেতারা থাকলেও  যাত্রীদের কোনো প্রতিনিধি নেই।

বর্তমানে নবাবগঞ্জে শিক্ষার হার শতকরা ৮০ ভাগ। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ৪০ ভাগ, ফলে এদের মধ্য বেশির ভাগ লোকই ঢাকায় চাকরি করেন এবং দূরত্ব অল্প থাকায় প্রতিদিনই নিজ বাড়ি থেকে অফিসে আসা যাওয়া করেন। কিন্তু তাতে রয়েছে বড় সমস্যা। দূরত্ব কম থাকার ফলেও তারা প্রায়দিনই ঠিক সময় মত অফিসে যেতে পারে না। কারণ রাস্তায় যমুনা পরিবহনের প্রতিবন্ধকতা।

শিকারী পাড়া গ্রামের আবজাল বলেন ভাই আমরা আছি বিপদে ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের রাস্তায় যাইতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা। অল্প বেতনে চাকরী করি ঢাকায় থেকে যে অফিস করবো সেই কপাল নেই।  প্রায় সময় অফিসে পৌঁছাতে দেরি হয়, এর ফলে বসের গালি শুনতে হয়। বাসায় থেকে বের হওয়ার আগে  আল্লাহর কাছে দোয়া করে বের হয়। কি দোয়া করে বের হন জিজ্ঞেস করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন আল্লাহ আজ যেনো যমুনা বাসের পিছনে না পরি।

বান্দুরা থেকে ঢাকাগামী একমাত্র পরিবহন হচ্ছে এন মল্লিক। বান্দুরা এলাকার রাইমন বলেন আমি ঢাকার গুলিস্থান এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করি। যেখানে যাইতে সময় লাগে দেড় ঘন্টা। সপ্তাহে চার দিন আমার ঢাকায় যাইতে হয়। কিন্তু যে দিন মাঝির কান্দা থেকে যমুনা বাসের পিছে পরি  মাঝিরকান্দা থেকে টিকরপুর  যাইতেই সময় লাগে দেড় ঘন্টা।  মাঝিরকান্দা থেকে টিকরপুরের দুরত্ব ১১ কিলোমিটার।  আর সে দিন ঢাকা যাইতে সময় লাগে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা।

এছাড়া নবাবগঞ্জে অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন তাদের সপ্তাহে তিন-চার দিন ঢাকায় আসা যাওয়া করতে হয়। নাম প্রকাশে অনচ্ছুক বাগমারা বাজারের এক ব্যবসায়ী বিডিমনিংকে  বলেন ভাই আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হাতে ধরে মাল আনা যায় এমন মালের  জন্যও আমাদের অতিরিক্ত টিকেট কাটতে হয়। ফলে মালের খরচ অনেক বেড়ে যায় এর ফলে কম দামের জিনিস হলেও বিক্রি করতে হয় বেশি দামে।

নবাবগঞ্জের অনেক ছাত্র ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকার বিভিন্ন কলেজ গুলোতে পড়াশুনা করছে। ঢাকা তেজগাও কলেজে পড়ুয়া নবাবগঞ্জের অমিত বলেন ভাই আমরা ছাত্র মানুষ ঢাকার প্রায় সকল বাসই আমাদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয় কিন্তু আমাদের অত্র এলাকার পরিবহন আমাদের কাছ থেকে সাধারণ যাত্রীদের মতনই পুরো ভাড়া নেয়। কম দিতে চাইলে হেল্পপাররা আমাদের সাথে রাগারাগি করে এবং অনেক সনয় বাস থেকে নেমে যেতে বলে। ফলে বাধ্য হয়ে পুরো ভাড়া দিয়েই আসতে হয়।

অনুসন্ধানে উঠে আসে পরিবহন গুলির আরেক চিত্র। যে কোনো উৎসব এলেই  এই  দুই পরিবহনের দৌড়াত্ব দ্বীগুন বেড়ে যায়।

পাঞ্জীপহরী গ্রামের কতুব বলেন, যে কোনো তেহার আসলেই এই বাস মালিকরা ভাড়া বাড়ায় দেয়। তখন ৮০ টাকার ভাড়া হয় ১০০-১৫০ টাকা। তিনি আরো বলেন, গত ঈদুল আযাহার ঈদে ৮০ টাকার ভাড়া যখন ১২০ টাকা চাচ্ছে আমি তখন তাদের বললাম এটা তো অন্যায় ৮০ টাকার ভাড়া কি করে ১২০ টাকা হয়। কথায় কথায় এক পর্যায় আমার সাথে তাদের ঝগড়া লেগে যায়। তাদের এককথা আমাগো কইয়া লাভ নাই মালিকের হুকুম।  গেলে যান না গেলে না যান। রাত অনেক হয়ে যাওয়ার ফলে বাধ্য হয়ে ৮০ টাকার ভাড়া ১২০ টাকা দিয়ে আসলাম। কার্তিকপুর গ্রামের ইয়াজদ্দিন বলেন ঢাকা থেকে কার্তিকপুর এলাকার নিয়মিত ভাড়া ১০০ টাকা। কিন্তু ঈদের আগের দিন বাধ্য হয়ে ১০০ টাকার টিকেটে ২০০ টাকা দিয়ে আসতে হলো।

অন্য খবর  দোহারে চাল বরাদ্দ নেই হতাশ বেকার জেলেরা

মুন্সিনগর গ্রামের রকিব মিয়া বলেন ঈদের ৫ম দিন ঢাকায় মেয়ের বাসায় বেড়াতে যাবো কাউন্টারের টিকেট কিনতে গিয়ে দেখি ৭৫ টাকার টিকে ১০০ টাকা। ভাড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে বলে আমরা কিছু জানি না। মালিকের হুকুম।

নাম প্রকাশে অনইচ্ছু  এন মল্লিক পরিবহনের এক বাস হেল্পার এই প্রতিবেদক কে বলেন ভাই প্রায় দিনই ভাড়া লইয়া আমাগো হাতে যাত্রীগো ঝগড়া লাগে। মালিক তো সুখে আছে,  মালিক যা বলে আমাগো তাই করতে হয়। অনেক সময় যাত্রীরা মা, বাপ তুইলা গালি দেয়। কন ভাই আমাগো কি দোষ মালিক তো আমাগো অবস্থা বুঝে না। একদিন যদি হেল্পপারি করতো সে দিন বুঝতো কত লাত্তি, গুতা, গালি খাইয়া এই কাম করতাছি।

নাম প্রকাশে অনইচ্ছু যমুনা পরিবহনের এক বাস হেল্পার বলেন ভাই আমরা কি করুম মালিক কইছে এন মল্লিকরে কোনো সাইড দিবি না। যদি কোনো ড্রাইভার ইচ্ছা কইরা এন মল্লিকরে সাইড দেছ তাইলে ঐ বাস তিন টিভ বন্ধ থাকবো। আমাগোরে মালিকরা মৈনট ঘাট থেইক্কা মাঝির কান্দা আসা পর্যন্ত  ১৫ মিনিট সময় দিছে। এতো অল্প সময়ে আসতে আমাগো খুব কষ্ট হয়। ফলে ওস্তাদ গাড়ি জোড়ে চালায়। এতে কইরা আমরা অনেক একসিডেন্ট করছি, এমন কি আমাগো বাসের ধাক্কায় মানুষও মারা গেছে। যদি কোনো বাস এই ১৫ মিনিটের মধ্যে না আসতে পারে এর পর থেইক্কা  ১ মিনিটের জন্য ৫০ টাকা ফাইন ধরা হয়। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো যদি ১০ মিনিট লেট করা হয় সাথে সাথে সে উত্তর দেয় ৫০০ টাকা ফাইন। তবে অনেক সময় ১০ মিনিট হলে কাউন্টারে কিছু  টাকা দিয়া ৫ মিনিট কইরা নেই।

এ ব্যাপারে  নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন,  আমি নব জয়েন করেছি। আপনি যে অভিযোগটি দিলেন তা যদি সত্য হয় তবে তদন্ত সাপেক্ষ্যে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। কোনো পরিবহনই সরকার নির্ধারণ করা ভাড়ার চেয়ে বেশি নিতে পারবে না।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। যদি কেউ কোনো অভিযোগ দেয় তবে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. সাইদুর রহমান বলেন, আমরা আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম নবাবগঞ্জে এই দুই পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। সে ক্ষেত্রে আমরা এই দুই পরিবহনের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহন করবো এবং পরিবহন ও ট্রাফিক বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিবো।

এন মল্লিক পরিবহনের মালিক নার্গীস মল্লিক বলেন, আমরা সড়ক পরিবহনের সাথে কথা বলে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করছি। এছাড়া ৭৫ টাকার টিকেটে ৮০ টাকা আদায়ের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা আমাদের পরিবহনের জন্য লাখ লাখ টাকার টিকেট ছাপিয়ে থাকি ফলে আমরা ভাড়া বাড়ানোর কারনে নতুন করে আর টিকেট না ছাপিয়ে সেই টিকেটের ওপর সিল মেরে দিচ্ছি।

এদিকে সড়ক পরিবহনের কোন কর্মকর্তা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করার জন্য অনুমতি দিয়েছে তা জানার জন্য যোগাযোগ করলে কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক সড়ক ও পরিবহন কর্মকর্তা বলেন আসলে কাউকে এ ধরণের অনুমতি দেওয়া হয় না যে আপনি সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করুন। তারা বিভিন্ন কর্মকর্তাকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকে।

যমুনা পরিবহনের মালিক  চন্দন বলেন, আমরা অন্যান্য পরিবহনের চেয়ে কম ভাড়া নিচ্ছি। আমরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছি না।

 

আপনার মতামত দিন