নবাবগঞ্জে যমুনা টিভি ও যুগান্তরের সাংবাদিকদের ওপর হামলা, আহত ১০

310
নবাবগঞ্জ

ঢাকা-১ (নবাবগঞ্জ-দোহার) আসনের নবাবগঞ্জের কলাকোপা পোদ্দার বাজার এলাকায় যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এসময় ১৬ টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নবাবগঞ্জের শামীমা গেস্ট হাউজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হোটেলে অবস্থানরত সাংবাদিকদের প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক সুশান্ত সিনহা। এ ঘটনার পর থেকে যুগান্তরের ধামরাই প্রতিনিধি শামীম খান নিখোঁজ রয়েছেন। তার ব্যবহারকৃত তিনটি মোবাইল নাম্বারই বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-১ আসনে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বাবুলের স্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আজ যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ২৫-৩০ জন সাংবাদিক নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহের জন্য নবাবগঞ্জে আসেন। তারা রাতে শামীমা গেস্ট হাউজের সামনে গাড়ি রেখে সেখানে অবস্থান করছিলেন। এসময় ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত ওই গেস্টহাউজকে অবরুদ্ধ করে লাঠি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন সাংবাদিক আহত হন। দুর্বৃত্তরা শামীমা গেস্টহাউজের সামনে রাখা যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার গাড়িসহ ১৬টি গাড়ি ভাঙচুর করে।

অন্য খবর  দোহারে নবনিযুক্ত ইউএনও'র বন্যা এলাকা পরিদর্শন

হামলায় আহত যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক সুশান্ত সিনহা বলেন, অতর্কিত ৩০-৩৫ জন সশস্ত্র দূর্বিত্ত্ব আমাদের হোটেলে হামলা চালায়। আমরা থানা নির্বাহী অফিসার, পুলিশের ওসিকে জানালেও কোনো ধরনের সাড়া পাইনি। গণমাধ্যমকর্মীরাই যদি এভাবে আক্রান্ত হন, তাহলে এখানে সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা কোথায়?

এ ঘটনায় যুগান্তররের স্টাফ রিপোর্টার ইয়াসিন জানান, আমরা কয়েকজন চা খাওয়ার জন্য হোটেল থেকে নিচে নামতে যাই। এ সময় সিঁড়ি থেকেই শোনা যায় নিচে হট্টগোলের শব্দ। আমরা প্রথমে মনে করেছি আরও নতুন কোনো সাংবাদিক হয়ত হোটেলে আসছে তাদের জন্যই এই হট্টগোল।

তিনি জানান, কিন্তু একটু নিচে গিয়ে দেখি রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রসহ মুখোশপরা কয়েকজন যুবক উপরের দিকে হামলার জন্য আসছে। আমরা তাৎক্ষণাৎ সেখান থেকে দৌঁড়ে উপরে উঠে যায়। এরপর তারা প্রায় ঘণ্টাখানেক হামলা-ভাঙচুর চালায়। এ সময় আমাদের ১০-১২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নবাবগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর কামরুল ইসলাম বলেন, হামলাকারীরা যে প্রার্থী বা দলের সমর্থক হোক না কেনো তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একাধিকবার চেষ্টা করেও ওসি’র কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি এমন অভিযোগের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, তিনি সম্ভবত মিটিংয়ে ছিলেন।

আপনার মতামত দিন