দোহার-নবাবগঞ্জে দুই শতাধিক মণ্ডপ

479

ঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। আর কিছুদিন পর শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচাইতে বড় ধর্মীয় উত্সব দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানাতে মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃত্ শিল্পীরা। সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী পূজা। মণ্ডপ থেকে মণ্ডপে বেজে ওঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ। পাঁচ দিনের উত্সবের পর ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিমা বিসর্জনের পর ঘটবে এর সমাপ্তি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মহালয়ার দিন থেকে দেবীর আগমনী উত্সব শুরু হয়। আর এবারের মহালয়া ১৯ সেপ্টেম্বর।

বুধবার সরেজমিনে দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, কাদা-মাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিল তিল করে গড়ে তোলা হয়েছে দেবী দুর্গার প্রতিমা। নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর ইয়ুথ ক্লাবের মাঠের দুর্গা মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, মাটির কাঠামো নির্মাণের মূল কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছেন শিল্পীরা। এখন বাকি রং তুলির ছোঁয়ায় প্রতিমার সৌন্দর্যবর্ধনের মূল কাজ। তবে মৃত্ শিল্পীরা জানান, বৃষ্টি এবং মেঘলা আবহাওয়ার জন্য প্রতিমা শুকাতে না পেরে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তারা। তারা বলেন, আবহাওয়ার উন্নতি না হলে তা আমাদের জন্য অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।

অন্য খবর  দোহারে ৩ মাদক সেবনকারী আটক

নবাবগঞ্জ উপজেলা পূজা উত্যাপন পরিষদের সভাপতি নিতাই চাঁদ তালুকদার বলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে এ বছর ১৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, উপজেলা পূজা উত্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সকল মণ্ডপে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

দোহার উপজেলা পূজা উত্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিতাপ পাল অপু বলেন, এবছর আমাদের এই উপজেলায় ৩৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে দুর্গা মণ্ডপগুলোতে।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ইতোমধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা ও হ্যাজাক লাইট। এছাড়াও তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাদা পোশাকের পুলিশ এবং গোয়েন্দা বাহিনীও মাঠে কাজ করবে। এছাড়াও যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে থানা পুলিশের পাশাপাশি থাকবে আনসার ও গ্রাম পুলিশ সেচ্ছাসেবী সদস্য।

আপনার মতামত দিন