দোহার-নবাবগঞ্জে এসএসসি ফরম পূরণে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ

692

ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত টাকার অতিরিক্ত না নিতে প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, আগামী বছর ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। তাই নির্বাচনী পরীক্ষা শেষে চলছে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ কার্যক্রম। ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম পূরণের সুযোগ ছিল শিক্ষার্থীদের। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১ হাজার ৭২০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১ হাজার ৬৩০ টাকা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।

সূত্র জানায়, পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বেতন, কোচিং ক্লাস, উন্নয়ন, খেলা, মিলাদ, পূজা, স্কাউট, বিদ্যুৎ, কর, অনলাইন ফরম পূরণ, যাতায়াত ও বিবিধ খাত বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে স্কুল গুলো। অন্যদিকে, ৪ হাজারের অধিক টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি সমিতির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা গেছে, দোহারের বেগম আয়েশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা, ফ্যামস ইন্টারন্যাশনাল ৪ থেকে ৮ হাজার টাকা, বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ৪০০০ টাকা, নবাবগঞ্জের শিকারীপাড়া টিকেএম উচ্চ বিদ্যালয় ৫১০০, ঘোষাইল উচ্চ বিদ্যালয় ৪৭৫০, বারুয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয় ৩৭৬০ টাকা নিয়েছে।

অন্য খবর  নারিশায় তিন বাড়িতে ডাকাতি

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার শিকারীপাড়া টিকেএম উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানায়, আমি গরিব পরিবারের সন্তান। বাবার সামান্য আয়ে সংসারই চলে না। এতো টাকা দিয়ে ফরম পূরণ আমার পরিবারের সামর্থ্য নেই। এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে টাকার ব্যবস্থা করেছি।

শিকারীপাড়া টিকেএম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হক মুঠোফোনে বলেন, তিনি সমিতির নির্দেশনার চেয়ে কম ফি নিচ্ছেন। এখানে তার কিছু করার নেই।

নবাবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাইদুর রহমান ও দোহার উপজেলা শিক্ষক সমিতির মো. একলাল উদ্দিন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয় আমার জানা নেই। এবিষয়ে সমিতির কোন নির্দেশনাও নেই। এটা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপার।

নবাবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা না নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দোহার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী বলেন, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত দিন