ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার ৬১ হাজার পরিবার পেয়েছে ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সহায়তা। করোনায় কর্মহীন ও অসহায় দোহার-নবাবগঞ্জবাসীর ৬১ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তার মাধ্যমে পাশে দাঁড়িয়েছেন ফজলুর রহমান ফাউন্ডেশন। সরকারি বরাদ্দ চাল ছাড়াও সালমান এফ রহমানের নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী রয়েছে। এতে করে এ উপজেলার কর্মহীন, অভাবগ্রস্ত, দুস্থ, অসহায়, ও হতদরিদ্র মানুষ খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন। নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ২৮ হাজার এবং দোহার উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভায় ৩৩ হাজার পরিবারকে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, ঈদ উপহার সামগ্রী ৮ হাজার পরিবার এবং শিশু খাদ্য ৫৫০০ পরিবারকে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

নবাবগঞ্জ উপজেলার ৯৮১০টি পরিবার এবং দোহারে ৮৮৮৫টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর নগদ আর্থিক সুবিধার আওতায় এসেছেন। এর ফলে মানুষের মাঝে দুর্ভোগ বহুলাংশে লাঘব হবে। তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জের জনপ্রতিনিধিদের সাথে সালমান এফ রহমানের অনলাইন সভা

দোহার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা জানান, দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলার অভিভাবক ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান স্যারের দিকনির্দেশনায় অসহায় দোহারবাসীর পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সরকারি ত্রাণের চাল ছাড়াও এমপি মহোদয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৩৩ হাজার অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত আছে ।  ঈদ উপহার হিসাবে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী প্রায় ৮ হাজার পরিবারকে দেয়া হয়েছে। শিশু খাদ্য ৫৫০০ পরিবারকে দেয়া হয়েছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসহায়দের নগদ আর্থিক সুবিধার আওতায় ৮৮৮৫টি পরিবার পাবেন। সাহায্য সহযোগিতা যেভাবে চলমান রয়েছে তাতে করে দোহারে খাদ্য ও মানবিক সমস্যা হবে না ।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজু বলেন, এ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১২৬টি ওয়ার্ডে ২৮ হাজার পরিবারকে সরকারি ত্রাণের চাল ছাড়া এমপি মহোদয়ের আর্থিক সহযোগিতায় বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নগদ আর্থিক সুবিধার আওতায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ৯ হাজার ৮১০টি পরিবার এ সুবিধা পাবেন। বিশেষ নজরদারি নিখুঁতভাবে যাচাই বাছাই করে নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এবং প্রকৃত যারা প্রাপ্য তারা যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়ে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। সাহায্য সহযোগিতা যেভাবে অব্যাহত আছে আশা করি মানুষের দুর্দশা অনেকাংশ লাঘব হবে।

আপনার মতামত দিন