দোহার ও নবাবগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের ভোগান্তি

1160
পল্লী বিদ্যুৎ

ঢাকা-২ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীন দোহার ও নবাবগঞ্জের গ্রাহকদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। দুই উপজেলায় দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে। খুঁটি স্থানান্তরের নামে প্রায় দিনই ভোগান্তির জন্ম দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন, গত এক সপ্তাহে এ দুই উপজেলায় গড়ে মাত্র ৫ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

ঢাকা-২ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এহেন কর্মকান্ডে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষোখের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন। গত ১ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহার-নবাবগঞ্জসহ ১০২ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা করেন। এর পরও বিদ্যুতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত এ দুই উপজেলাবাসী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল থেকে বিদ্যুৎ ছিল না নবাবগঞ্জ উপজেলায়। রাত ১২টায় বিদ্যুৎ এলেও কয়েক মিনিট পর আবার চলে যায়। আবার আসে রাত সাড়ে তিনটায়। এ নিয়ে ঢাকা-২ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে নিয়ে জনমনে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। অনেক সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

ফারুক হোসেন নামে একজন লিখেছেন ‘সারাদিন খাম্বা সরানোর নাম করে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং দেবেন। দিনশেষে হালকা সান্তনামূলক বিদ্যুৎ দিয়ে পড়ে না চোখের পলকের আগে তা ছিনিয়ে নেবেন, নবাবগঞ্জবাসী কি রোবট নাকি। আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ দেবেন না এটা রীতিমতো আমাদের ওপর জুলুম।’

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে চোলাই মদ ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড

দোহার উপজেলার পালামগঞ্জ এলাকার নাজনীন শিকদার বলেন, ‘রাতে প্রচ- গরম থাকে। বাচ্চাদের পরীক্ষা চলছে, এভাবে বিদ্যুৎ না থাকলে বাচ্চারা পড়াশোনা করবে কী করে। এ ছাড়া মাগরিবের আজানের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই।’

দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থী রাশেদ মিয়া বলেন, রাতে প্রচুর গরম থাকে, তার মধ্যে কারেন্ট থাকে না। কীভাবে পড়তে বসি বলেন। আমাদের রেজাল্ট খারাপ হলে দায় ঢাকা-২ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে নিতে হবে।

কাশিমপুর এলাকার শাকিল বলেন, আমরা উপজেলার সদরে অবস্থান করেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছি না। প্রচন্ড গরমে এভাবে লোডশেডিং থাকলে বাচ্চারাসহ অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়বে। আমরা এর সমাধান চাই।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে ঢাকা-২ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দোহার শাখার ডিজিএম খোরশেদ আলম বলেন, দোহারের গ্রিডটি নষ্ট হওয়াতেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। রমজান মাস সামনে রেখে আমরা সমস্যা সমাধানের সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আশা করছি, স্বল্পভাবে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে। তবে সমস্যার স্থায়ী সমাধান পেতে দেড় বছর লাগবে।

আপনার মতামত দিন