দোহারে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ১৮ জেলেকে সাজা

126
দোহারে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ১৮ জেলেকে সাজা

ঢাকার দোহারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার অপরাধে দোহার ১৮ জেলেকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার (২০ই অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র  অভিজান চালিয়ে ১৮জন জেলেকে আটক করে এ মধ্যে ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৩ জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে এ সাজা দেন।

গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অভিজান চালায় উপজেলার নারিশা, মধুরচর ও মৈনটঘাট সংলগ্ন পদ্মানদীতে। অভিযান চালিয়ে ১৮ জন জেলেকে আটক করে। পরে তাদের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আটককৃত কাশেম মিয়া (২৫), তারা মিয়া ( ৫৫), আব্দুর রশীদ (৪৫), মুসলেম বেপারী (৫০), জাহাঙ্গীর মিয়া (৪৫), হারুন মিয়া (৫৫), শহিদ হাওলাদার (৪০), আসাদ হোসেন (২২) , আব্দুল করিম (২০) ও খোকন ফকির (২৩) কে এক বছর করে এবং ফয়জল মোল্লা (৬০), বাদল মিয়া (২৭), ফারুক মিয়া (২৭), সজিব বেপারী (২০) ও বাবুল শিকদার (৫০)’কে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং সালাম মোল্লা (৫০), দুলাল শেখ (২০) ও সেকেন্দার হাওলাদার’কে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।

অন্য খবর  করোনা সনাক্ত হারঃ দোহারে ৪৮%, নবাবগঞ্জে ৫০%

ঐ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোসাম্মৎ লুৎফুন্নাহার উপস্থিতিতে জব্দকৃত প্রায় ২ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে মৈনটঘাটে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। উদ্ধারকৃত ১৫ কেজি ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিমখানায় প্রদান করেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন দোহার কুতুবপুর নৌ-পুলিশ।

অন্যদিকে উপজেলার নারিশা এলাকা থেকে সোমবার রাতে মো. কামাল (২৮), আলামিন (৪০), সাগর ফকির (৩০), আয়নাল বেপারী (৫৫) ও মজিবুর বেপারী ( ৫০) নামে পাঁচ জেলেকে আটক করে নৌ-পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ সংশোধনীয় ১৩ এর ৫এর ২ খ ধারায় দোহরের কুতুবপুর নৌ-পুলিশের এএসআই মো. জসিম বাদি হয়ে দোহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে নৌপুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন নৌ-পুলিশের ঢাকা জোন এর এএসপি আবুল কালাম আজাদ।

আপনার মতামত দিন