দোহারে ভোররাতে পদ্মায় প্রশাসনের অভিযানঃ আটক ১৭ জেলে

803

শুক্রবার দোহারে ভোররাতে ৪টায় পদ্মায় প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সালমা খাতুনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় মৈনটে ২০০০মিটার কারেণ্ট জাল পোড়ানো হয়।  প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,  দোহার উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ২২ জনের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  আফরোজা আক্তার রিবা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা খাতুন ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোট ২২ জনকে ১৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া একজনকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এই অভিযান সম্পর্কে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা খাতুন  তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ভোর ৪ টা থেকে শুরু করেছি অভিযান। রোদ বৃষ্টিতে পুড়ে না খেয়ে অভিযান চালাচ্ছি প্রতিনিয়ত। জেলেদের তুলনায় প্রবাসীরা বেশি আছে নদীতে যারা নাকি ছুটিতে দেশে এসেছে মাছ ধরার জন্য। অনেকেই শিক্ষিত। অনেকেই আবার পরিচয় দেয় আমি এই আমি সেই। আর এই লোকদের জন্য তদবির বাজদের সংখ্যা ও কম নয়। কোন নিরীহ জেলের জন্য নয় তদবির আসে অন্য শেণীর জন্য যারা জেনে বুঝে সরকারের আদেশ অমান্য করছে।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জের বড় গোল্লায় বড়দিন উৎযাপিত

তিনি আরো বলেন, সুপ্রিয় দোহারবাসী আসুন আমরা সবাই মিলে মা ইলিশকে রক্ষা করি। একটু ভাবুনতো আপনার মা, আপনার বোন কিংবা আপনার স্ত্রীকে যদি প্রসব কালীন সময়ে অটিতে নিয়ে গলা টিপে মেরে ফেলা হয় তাহলে আপনার কেমন লাগবে? ঠিক এই সময়ে মা ইলিশ তার সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে কত পথ পাড়ি দিয়ে লোনা পানি থেকে স্বাদু পানিতে আসে তার বাচ্চার নিরাপত্তার জন্য। আমাদের উচিত এই সময় মা ইলিশকে সুযোগ করে দেয়া। মাত্র কয়েকদিন আমরা আমাদের লোভকে সংবরণ করলে সারা বছর আমরা ইলিশ খেতে পারবো।

আটককৃত মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়

আপনার মতামত দিন