দোহারে বিয়ের তিন দিনের মাথায় স্বামীর বাড়ীতে নববধূর মর্মান্তিক মৃত্যু

    2486

    শরিফ হাসান,নিউজ৩৯ঃ শেক্সপীয়ারের ওথেলো নাটক-কে হার মানিয়ে বিয়ের তিন দিনের মাথায় স্বপ্ন সাধের সংসারে প্রিয়তম স্বামীর হাতে খুন হলেন নববধু শিখা। শিখা জয়পাড়ার বেগম আয়েশা গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। সে দোহার ঘাটা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মো.শিরাজুল ইসলামের মেয়ে। ভালোবাসার মালা গলায় থাকার বদলে স্বামীর বাড়ীর পুকুরে কলসি গলায় বাধা থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মেহেদির রংগে রাংগানো শিখাকে।

    কৈশরের উদ্দীপনায় মেতে থাকা শিখার স্বপ্ন ছিল ভালোবাসাময় ঘর বাঁধার। বিয়ের দিন শিখার ছিল জাকজমক নববধূর সাজ। বিয়ের সাজসজ্জা, মেহেদি রাঙানো হাত আর আলতা মাখানো পায়ে বিয়ের ৩দিনের মাথায় লাশ হয়ে ফিরলো শিখা সকলের মাঝে।

    স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, চাহিদা মাফিক স্বর্ণের গহনা ও যৌতুক দিতে না পারায় বিয়ের দিন থেকে স্বামী ও স্বামীর আত্মীয় স্বজন্দের কাছ থেকে লাঞ্চনা ও গঞ্জনা পেয়ে আসছিলো শিখা। বিয়ের দিন থেকেই বাবার বাড়ী আর শ্বশুড় বাড়ীর সাথে দ্বন্দ চলে আসছিলো। এরই এক পর্যায়ে শিখাকে আনুমানিক গলা টিপে হত্যা করে ভিন্ন খাতে তা প্রবাহিত করতে গলায় কলসি বেধে পুকুরের কচুরিপানার মাঝে তা লুকিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু স্থানীয়রা সোমবার বিকেল ৫টার দিকে মিয়া বাড়ীর পুকুরে কচুরিপানার মধ্যে শিখাকে ভাসমান দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ।

    অন্য খবর  ৬ মাসের মধ্যে বিশ্ববাজারে দাম না কমলে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে জ্বালানি: সালমান এফ রহমান

    দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। ইতঃমধ্যে ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে স্বামী রুহুল আমিন (২৭) পলাতক রয়েছে।
    এদিকে শিখা হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসি।

    আপনার মতামত দিন