দোহারে পদ্মা বাঁধের ক্ষতি করে বালু উত্তোলনে বেপরোয়া অসাধুরা

366
দোহারে পদ্মা বাধের ক্ষতি করে বালু উত্তোলনে বেপরোয়া অসাধুরা

ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন যাবত পদ্মা নদীতে বালু লুটের মহতসবে মেতেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ক্রমাগত ভাবে এই বালু লুটের কারনে এই অঞ্চলে পদ্মা তীরবর্তী এলাকা ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। এই অপরিকল্পিত বালু উত্তলন চলমান থাকলে দোহার উপজেলায় সরকারিভাবে নদী শাষনের জন্য সাড়ে ১৬শ কোটি টাকার বাধ প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় জনসাধারন।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার মৈনট, মাহমুদপুর, সুন্দরীপাড়া, বাহ্রাঘাট, নারিশা, মেঘুলা, বিলাশপুর, নয়াবাড়ি, মাহমুদপুর, মুকসুদপুর এলাকার সিন্ডেকেট বালুদস্যুর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে চলছে পদ্মায় বালু উত্তলন। তাদের অনুগত লোকেরা পদ্মা নদী থেকে প্রতিদিন ১৫-১৬টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলন করলেও সেটা দেখার কেউ নেই। মাঝে মাঝে প্রশাসন পদ্মা নদীর শাখা নদীতে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করলেও মুল নদীতে কোন অভিযান পরিচালনা করে না। ফলে বন্ধ হচ্ছে না মুল নদী থেকে বালু উত্তলন। অপর দিকে পদ্মাইয় বিশাল বালু মহল থাকলেও তা ইজারা দিতে পারছে না প্রশাসন। এতে সরকার যেমন রাজস্ব রাহাচ্ছে ঠিক তেমনি ভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তলনের ফলে কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে পদ্মা নদী গর্ভে।

অন্য খবর  চলে গেলেন সুধীর স্যার

দোহার উপজেলার সীমান্তে পদ্মা নদীর বাহ্রাঘাট, সুন্দরীপাড়া, মৈনট, নয়াবাড়ি, বিলাশপুর, সুতারপাড়া, মেঘুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন, নারিশা ডাকবাংলো সংলগ্ন শিপইয়ার্ড এলাকায় বিশাল এলাকাজুড়ে বালু উত্তলন করে বিক্রি করছে সিন্ডিকেট বালু দস্যুরা।

নারিশা ডাকবাংলো শিপইয়ার্ড এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, দোহারকে পদ্মার গ্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান। তিনি এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি বাধ নির্মানের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে প্রভাবশালী একতি চক্র সিন্ডিকেট করে এই উন্নয়ন কাজকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য বালু কাটছে, যা খুব দুঃখজনক। তিনি বালু উত্তলন বন্ধে এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সরজমিনে দোহারের পদ্মানদীতে ঘুরে দেখা গেছে প্রায় ২০টি পয়েন্টে বালু দস্যুরা বালু উত্তলন করে দুই হাতে টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে এই বালু উত্তলনের ফলে বিলাশপুর, নয়াবাড়ি, মাহমুদপুর, মুকসুদপুর, নারিশা ইউনিয়নের মানুষ ভাঙ্গন আতংকে দিন কাটাচ্ছে।

এই ব্যাপারে দোহার উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, খোজ নেয়া হচ্ছে। খোজ নেয়া হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত দিন