দোহারে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত পুত্র ও পিতা-ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি আটক

1006
দোহার উপজেলায় এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ৫ দিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দোহার থানা পুলিশ অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে পিতা ও প্রবাসী পুত্রকে আটক করেছে।
আটককৃতর হলেন, দোহার উপজেলার মাদক বিরোধী সংগঠন এসডিপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দোহার থানা মানবাধিকার কমিশনের সাবেক বহিস্কৃত সাধারন সম্পাদক ও দোহার থানা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি নাসির উদ্দিন পল্লব (৪৭) ও তার পুত্র দুবাই প্রবাসী রিফাত হোসেন শাওন (৩০)। তারা উপজেলার চরকুশাইচর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে দোহার থানায় নারী ও শিশু অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগীতায় পিতা-পুত্র ও মাকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে।
ভিকটিমের মা হাফিজা আসমা জানান, দুবাই প্রবাসী রিফাত হোসেন শাওন ও তার মেয়ে মাহ্মুদিয়া আলিম মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর শিক্ষাথী রিনা আক্তার (১৭) (ছদ্ম নাম) এর সাথে রিফাত হোসেন সাওনের ২টি স্ত্রী থাকার পরেও পরিকল্পিত ভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সক্ষতা গড়ে তোলে। রিফাত গত সপ্তাহে দুবাই থেকে গোপনে ছুটিতে এসে ঢাকায় তার মামার বাড়ীতে উঠে। এর পর শুক্রবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রিফাতের মা ও বাবা সায়মাকে জোর পূর্বক গাড়ীতে উঠিয়ে নিয়ে ঢাকা মোহাম্মদপুরে তার মামার বাসায় নিয়ে যায়। এর পর লাল কাপড়ে বাঁধা ধর্মীয় বই ধরিয়ে বিয়ের নাটক সাজায়। এরপর রিফাতের বাবা, মা সহয়োগীতায় একই ঘরে আবদ্ধ রাখে। অনেক খোজাখুজি করেও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করি।
পুলিশ জানায়, পুলিশ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে রিফাত হোসেন শাওনের সন্ধান পাই। এসময় শাওনের পিতা নাসিরের কাছে তার পুত্র কোথায় আছে জানতে চাইলে তার ছেলে বিদেশে আছে বলে জানান। এ ঘটনায় পুলিশ নারী ও শিশু অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা রুজু করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নাগেরকান্দা বাঁশতলা এলাকার আসামীর চাচা ইয়াকুব আলীর বাড়ী থেকে পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নাসির উদ্দিন পল্লব বিভিন্ন সংগঠনের আড়ালে অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও  তার পুত্র দুবাই প্রবাসী রিফাত হোসেন শাওনের বিরুদ্ধে দোহার থানায় মাদক ও পর্ণগ্রাফী নির্মানেরও অভিযোগ রয়েছে। তাদের কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ট।
এব্যাপারে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য কমরেড করম আলী জানান, তার বিরুদ্ধে দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দোহার থানার উপ-পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ খান জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে দোহার থানায় ৭/৯ (১)/৩০ ধারায় নারী ও শিশু অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগীতায় পিতা ও পুত্রকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে রিমান্ড চান অজ্ঞাতকারণে রিমান্ড চাওয়া হয়নি।
আপনার মতামত দিন