দোহারে জমে ওঠেছে শীতের পিঠার দোকান

2359

বছর ঘুরে শীত এসেছে বাংলার প্রকৃতিতে। মিইয়ে এসেছে দিনে রোদের প্রখরতা, তাতে রয়েছে এক হিমেল পরশ। সন্ধ্যা নামলে হিম ভাব বোঝা যায় আরও বেশি করে। বাক্সবন্দী শীতের কাপড়-চাদরের যেমনি কদর বেড়েছে তেমনি  কদর বেড়েছে নানা রকম শীতের পিঠারও। দোহারে এখন ঠান্ডার ভাব ঢাকার তুলনায় অনেক বেশী।

শীত এলেই মনে হয়ে যায় শীতের পিঠার কথা। পিঠা ছাড়া বাংলার শীত পরিপূর্ণ হয় না। সকালে কাঁপতে কাঁপতে পিঠা খাওয়া গ্রামের অতি পরিচিত দৃশ্য। কিন্তু শীতের পরিচিত এই অনুষঙ্গ পিঠার চল  দোহারে এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। দোহারের ব্যস্ত নাগরিক জীবনে ঘরে পিঠা বানানোর সময় মেলা ভার। তাই বাইরের দোকানই ভরসা। দোহারের বিভিন্ন এলাকায় বসেছে ভ্রাম্যমাণ  পিঠার দোকান।

জয়পাড়া রতন স্বাধীনতা চত্তরের পাশে,লটাখোলা বড় ব্রিজের বাম ঢালে কিংবা জনসমাগম স্থলে ও বাজারের আশপাশে পিঠা বিক্রি হচ্ছে নানা রকম শীতের পিঠা। চালের গুঁড়া, নারকেল, খেজুরের গুড় ও লবণ—এ পিঠার মূল উপাদান। জানালেন লটাখোলা বড় ব্রিজের ঢালের পিঠা বিক্রেতা তামান্না খাতুন। তিনি আরও জানান, খুব ভোরে আর সন্ধ্যায় বেশি চাহিদা থাকে পিঠার। ভাপা পিঠা প্রতিটি পাঁচ থেকে ১০ টাকা করে বিক্রি করছেন তিনি। আর চিতই পিঠা বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি পাঁচ টাকা। সাথে রয়েছে কালোজিরা,মেথি,রশুন মরিচসহ বিভিন্ন রকমের শুটকির ভর্তা।

অন্য খবর  দোহারের মাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

মাহমুদুল হাসান সুমন নামে এক শিক্ষক পিঠা খেতে খেতে বললেন,ব্যস্ততার কারনে বাড়িতে পিঠা খাওয়ার সময় হয়ে ওঠেনা তাই এখানে সেই স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করছি।

আপনার মতামত দিন