দোহারের শিমুলিয়ায় চলছে খাল দখল উৎসব

895

নদী, খাল, জলাশয় দখল আইনত অপরাধ হলেও তা ঘটছে আইন, প্রশাসন ও জনসাধারণের চোখের সামনেই। এভাবে চলতে থাকলে দোহারে মানুষের অস্তিত্ব বিরাট সংকটের মুখে পড়বে আর কিছুদিনের মধ্যেই। প্রকৃতি ধ্বংসের পরিণাম ভয়াবহ। নিয়মত নদী ভাঙ্গনের অন্যতম কারণ এই জলাশয় দখল ও বালু উত্তোলন। মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে প্রকৃতির এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। প্রকৃতির সাথে মানুষের বন্ধুত্বই টিকিয়ে রাখবে মানবসভ্যতা।

সম্প্রতী দোহার উপজেলায় খাল দখল করে পাকা মার্কেট নির্মান করছে স্থানীয় চিহ্নিত প্রভাবশালী ব্যাক্তি। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় উপজেলা মেঘুলা বাজার সংলগ্ন পদ্মার শাখা উত্তর শিমুলিয়া খালের ভিতর পাকা স্হাপনা করে মার্কেট নির্মান করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় শহিদ নিউজ৩৯ কে বলেন, এক সময় সরাসরি পদ্মার নদীর শাখা খাল হিসাবে উত্তর শিমুলিয়া খালটি খুবই পরচিত ছিল এই খাল দিয়ে বড় বড় গয়নার নৌকা আড়িয়াল বিল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সদরঘাট, ফতুল্লা,ও নারায়নগঞ্জ হাট বাজারে বিভিন্ন কৃষিপন্য ও খাদ্য সামগ্রী বহন করতো। আর ড্রেজিং এর অভাবে এবং দখল দারিয়্বের কারণে তা আজ ছোট একটি খালে পরিণত হয়েছে।

অন্য খবর  দোহারের আওলিয়াবাদে দুর্ধষ চুরি

খাল দখল হয়ে যাওয়ার কারনে এদিকে পরিবেশের ভারসাম্যের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে খালের পানিতে টয়লেটসহ ময়লা আবর্জনার বর্জ ফেলে খালটিকে দূষিত করে ফেলছে।  আরো দেখা যায়, খালের অনেক জায়গা দখল করে অনেকে আধা পাকা প্রায় ৩০ টির উর্ধে দোকান নির্মান করেছে।

এই বিষয়ে নারিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন দরানী নিউজ৩৯কে জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ খালের পাড়ে বিভিন্ন স্থাপনা দেখছি।  তাছাড়া কাগজপত্র না দেখ কিছুই বলতে পারবো না।

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে,এম, আল-আমীন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন দখলের বিষয়টি আমার জানা ছিলনা আমি দ্রত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আর দখল দারিত্ব থাকলে তা অবশ্যই মুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আপনার মতামত দিন