দোহারে আগুনে পুড়ে প্রতিবন্ধীর মৃত্যুঃ প্রশাসনের ক্ষতি পূরণে সহযোগিতা

253

দোহার উপজেলার দক্ষিণ জয়পাড়া হরিসভা এলাকায় বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে ঘরে আবদ্ধ থাকা অবস্থায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীর। আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারীর নাম নিপা সাহা (১৬বছর),পিতা দিরেন সাহা। সে একজন প্রতিবন্ধী কিশোরী। বৃহস্পতিবার (২৭ আগষ্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, নিহত নিপার বাবা জীবিকার তাগিদে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। গতকাল বিকেলে তার মা মন্দিরে গিয়েছিলেন পুজা করতে। প্রতিদিনের মতো ঘরে প্রতিবন্ধী কিশোরী নিপাকে তালাবদ্ধ রেখে যান এবং খেয়াল রাখতে কাকিমা কে বলে যান। নিপার কাকি জানান, হঠাৎ করে কিশোরী নিপার ঘরে দাওদাও করে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার দিলে, প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে স্থানীয়রা। কিছুক্ষণ পরেই দোহার ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।খবর পেয়েই ছুটে আসে নিপার বাবা-মা। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় তাদের ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র। আর মৃত্যু হয় প্রতিবন্ধী নিপার।

এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে নিপার পরিবারসহ পুরো এলাকাজুড়ে। এ সময় দোহার থানা পুলিশ এসে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে নিপা সাহার সতকারের অনুমতি দেন। ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার জহিরুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় আধা ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।

অন্য খবর  দোহারে বেড়েছে মৌসুমী ভিক্ষুকের সংখ্যা

দোহার ফায়ার সার্ভিস পক্ষ থেকে বলা হয়, বৈদ্যতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রামে বসতঘরে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া প্রতিবন্ধী কিশোরী নিপা সাহার পরিবারকে তাৎক্ষনিকভাবে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার দুপরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এসময় নিহত প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে ও তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় দেন এবং ৫ হাজার টাকা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, ডাল, তেল, লবন সহ ২০ দিনের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন অসহায় পরিবারটিকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ফিরোজ মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। আগুনে পরিবারটির বসতঘরে থাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় পরবর্তীতে ঘর তোলার জন্য টিন ও নগদ টাকা প্রদান করা হবে।উল্লেখ্য যে, নিহত নিপা জন্মগতভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার বাবাও বাক-প্রতিবন্ধী।বৃহস্পতিবার রাতে নিপা সাহার সতকারের ব্যবস্থা করেন।

আপনার মতামত দিন