দিগন্ত জোড়া সরিষার অপরুপ রুপঃ কৃষকের মুখে হাসি

    1633

    শরিফ হাসান ও গাজী নাদিমঃ দিগন্ত মাঠ জুড়ে হলদে সরিষা ফুলের/নয়ন প্রসন্ন করা যে রূপ দেখিয়াছি,/মুহূমুহূ মাতাল করা সেই গন্ধেরমিঠালী সমীরণে/পলেপলে আমি যেন তার প্রেমে পড়িয়াছি।দিগন্ত জোড়া যতদূর চোখ যায় শুধুই হলুদ রংয়ের সমাহার। এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর এ কারনে দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে সরিষার ক্ষেত হলুদ ফুলে একাকার হয়ে গেছে। কৃষকেরা আশা করছেন এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে।


    এখানকার চাষীরা এবার বিভিন্ন উন্নতমানের সরিষার বীজ ব্যবহার করেছেন। আর এ কারনে এই বছর এই দুই উপজেলার প্রতিটি গ্রামাঞ্চলের মাঠে ইতিমধ্যে আগাম জাতের সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে।

    অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার আবাদে কোস পোঁকার আক্রমন তেমন হয় নি। তাছাড়া সময় মত সার, কীটনাশকের ব্যবহারের কারনে সরিষার আবাদ করতে কৃষকের কোন বেগ পেতে হয় নি। সব মিলিয়ে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে এটাই কৃষকদের আশা।

    দোহারের কোঠাবাড়ী চকের কৃষক শামসু মোল্লা সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি তিন এবার বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন, সব কিছু ঠিক থাকলে তিনি বিঘা প্রতি প্রায় চার থেকে পাঁচ মন সরিষা তুলতে পারবেন।

    অন্য খবর  নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় ২ বন্ধু নিহত

    তাছাড়া এবার অনেক সুলভে সরিষা চাষ করতে পারছে কৃষকেরা। প্রতি বিঘা সরিষা চাষ করতে কৃষকদের খরচ হচ্ছে প্রায় ১৩০০-১৫০০ টাকা।

    আপনার মতামত দিন