তরুনদের ভাবনাঃ সচেতনার কোন বিকল্প নাই

309

দোহার -নবাবগঞ্জে করোনাভাইরাসকে আমি একটি ভয়ংকর রুপ হিসেবে দেখছি। দিনে দিনে দোহার – নবাবগঞ্জে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে, কিন্তু তারপরও এই এলাকার মানুষদের মধ্যে পুরোপুরি সর্তকতার সাথে/স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা নেই। করোনায় আক্রান্ত রোগী বাড়ার সাথে সাথে জনগণের অসর্তকতা বেড়েই চলছে বলে আমার মনে হয়। জনগণের একটি ভুল ধারণা আছে, যে করোনাভাইরাস হলে এমনেই হবে; সৃষ্টিকর্তা মৃত্যু লেখে রাখলে এমনেই মরব। বিষয়টা এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে আপনি বিষ খাবার আগে বলতেছেন সৃষ্টিকর্তা মৃত্যু লেখে রেখেছে তাই এইভাবে মৃত্যুবরণ করছি। যখন আপনার পরিবার এবং আপনার প্রিয় মানুষগুলো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে, তখন আপনি সর্তক হবেন! তাহলে তারা অসুস্থ হওয়ার আগে আপনি সর্তক হচ্ছেন না কেন? খারাপ লাগছে বাসায় থাকতে? ও তো আমারও লাগছে। আমার এমন দিন ছিল না যে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাম না, দোকানে বসে চা খেতাম না। কিন্তু প্রায় তিন মাস ধরে আমি এইসব থেকে পুরপুরি বিরত। কারণ আমার জন্য আমার পরিবারের ভালোর জন্য সর্বপরি দেশের ভালোর জন্য। নিজে কষ্ট করে থাকলেও যখন অন্য মানুষদের অসর্তকার সাথে চলতে দেখি তখন নিজের কাছে অনেক খারাপ অনুভব হয়। তখন ভাবি মানুষ এইভাবে চললে আরও কতদিন এইভাবে থাকতে হবে আমাদের। এই করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় তিনমাস ধরে ইউনিভার্সিটি থেকে দূরে রয়েছি, এই কারণে পড়াশোনার অনেক ব্যাঘাত ঘটছে এবং তার সাথে সাথে মানসিকভাবেও অনেক অসুস্থ বোধ করছি। পড়াশোনার একটা বিশাল গ্যাপ এসে পড়লে, পরে পড়াশোনার প্রতি একটা অনিহা চলে আসবে। ফলে আমাদের মতো স্টুডেন্টরা বিশাল একটা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাবে। আমি এর থেকে মুক্তি চাই, আবার সুন্দর একটি পৃথিবী চাই। তাই সকল জনগণের কাছে আমার অনুরোধ সকলে যেন সচেতনতার সাথে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করে। আপনার একটু সচেতনতা দিতে পারে সুন্দর একটি পৃথিবী, দিতে পারে আবার আগের মতো জীবন-যাপন করতে পারার সুযোগ। তানাহলে, দোহার -নবাবগঞ্জের জনগণের ভবিষ্যৎতে অনেক খারাপ সময় পার করতে হতে পারে বলে আমার মনে হয়।

অন্য খবর  দোহার পৌরসভা (শেষ পর্ব): উপসম্পাদকীয় – আব্দুর রহমান আকন্দ

সৌরভ ঘোষ

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

মালিকান্দা, দোহার, ঢাকা।

আপনার মতামত দিন