ঢাকা – ১ সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস চেয়ে সাবেক এমপি’র নির্বাচন কমিশনে আবেদন

    1828

    তারেক রাজীব;নিউজ৩৯:নবাবগঞ্জের সাবেক এমপি হারুনুর অর রশিদ এবং গ্রাজ্যুয়েট এসোসিয়েশন অব দোহারের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মোঃ আইয়ুব আলী গত ৬ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে ঢাকা – ০১ সংসদীয় আসন পূণার্বিন্যাস শিরোনামে আবেদন করেছেন। ডাইরী নং – ১৭২৬।

    আবেদনে তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে দোহার উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও নবাবগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ( জয়কৃষনপুর, শিকারিপাড়া ও বারুয়াখালী) মিলে ছিল ঢাকা – ০১ সংসদীয় আসন। আর নবাবগঞ্জের ১১টি আসন নিয়ে ছিল সংসদীয় আসন ঢাকা – ০২ । এদিকে, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সংসদ বহাল রেখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান হলে ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারীর মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

    নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ভৌগলিক অখন্ডতাকে প্রাধান্য দিয়ে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের লক্ষ্যে কাজ শুরু করছেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় তরফে জানা গেছে ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকা-২ ও ৩ আসনকে (কেরানীগঞ্জ উপজেলা) একত্রিত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই ঢাকা-১ আসনটি দোহারের ৭/৮টি ইউনিয়ন এবং নবাবগঞ্জের ৩টি (জয়কৃষ্টপুর, বারুয়াখালী এবং শিকারী পাড়া) ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিলো। ২০০১ এর ০১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনিক এবং ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা করে নবাবগঞ্জের ৩টি ইউনিয়ন বাদ দিয়ে দোহারের ৮টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার সমন্বয়ে ঢাকা-১ আসনটি পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

    অন্য খবর  জাতীয় পার্টি চাঁদাবাজি দখলবাজিতে যুক্ত নয়;অ্যাডঃ সালমা ইসলাম এমপি

    কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে ২০০৮ এর জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশন প্রশাসনিক ও ভৌগলিক অবস্থানের পরিবর্তে শুধুমাত্র জনসংখ্যার বিবেচনায় দোহারের ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং নবাবগঞ্জের ১৪টি ইউনিয়ন একত্রিত করে ঢাকা-১ আসন পুনর্বিন্যাস করে।

    ভৌগলিক ও প্রশাসনিক সহ যাবতীয় বিষয় চরমভাবে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র জনসংখ্যাকে বিবেচনায় নিয়ে অপ্রত্যাশিত ভাবে ২০০৮ সনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেখানে নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলা নিয়ে ২টি আসন ছিল সেখানে ২টি উপজেলাকে ১টি আসনে রূপান্তরিত করা হয়।

    আমরা নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার জনগণ আরও অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করলাম যে আমাদের ২টি আসনকে ১টিতে পক্ষান্তরে কেরানীগঞ্জ থানার ১টি আসনকে ২টি আসনে রূপান্তর করা হল।

    দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা ২টি আলাদা আসন হওয়া একান্ত বাঞ্চনীয় এই জন্যে যে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা দুইটি আড়িয়াল বিল ও কোঠা বাড়ীর বিশাল বিল দিয়ে বিভক্ত। এই বিল দিয়ে বিভক্ত হওয়ার জন্য দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার জনসাধারণ সহজে চলাচল করতে তো পারেই না উপরন্তু চরম ভোগান্তিতে তাদের এক উপজেলা হতে অন্য উপজেলায় প্রশাসনের বা এমপির সঙ্গে কাজ কর্মে ও প্রয়োজনে অনেক ঘুরে কষ্ট করে প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়।

    অন্য খবর  হুমায়ূন আহমেদের নবীজি ও শেষ দিনগুলোতে মুহিউদ্দীন খানের প্রভাব

    বাস্তবে সত্য কথাটি বলতে গেলে একথা অবশ্যই বলতে হয়, যে উপজেলা থেকে যিনিই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি নিজ উপজেলার উন্নয়ন ও জনগণের সুবিধার জন্য অন্য উপজেলার প্রতি প্রায়শই বিমাতাসূলভ আচরণ করে থাকেন। বিগত ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের ২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনই তার প্রকৃষ্ট প্রমান।

    এতে করে দোহার ও নবাবগঞ্জ উভয় উপজেলার মানুষের সমস্যা বেড়ে গেছে এবং দোহার ও নবাবগঞ্জের উন্নয়নে আনুপাতিক বরাদ্দ কমে গেছে।

    এমতাবস্থায়, মহোদয়ের প্রতি নবাবগঞ্জ ও দোহার থানার জনগণের স্বর্নিবন্ধ মিনতি দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলাকে ২০০১ইং সনের নির্বাচনের সময়কার অবস্থায় ফিরিয়ে এনে যথাক্রমে দোহার উপজেলাকে নিয়ে ঢাকা-১ আসন ও নবাবগঞ্জ উপজেলাকে নিয়ে ঢাকা-২ আসনে পুনর্বিন্যাস করতে আপনার আজ্ঞা হয়।

    ধন্যবাদান্তে
    দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার জনগণের পক্ষে

    ১। খন্দকার হারুন উর রশিদ
    (বীর মুক্তিযোদ্ধা)
    সাবেক সংসদ সদস্য

    ২। মোঃ আইয়ুব আলী
    প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
    গ্রাজুয়েটস্ এসোসিয়েশন অব দোহার

    অনুলিপিঃ
    ১। জেলা প্রশাসক, ঢাকা।
    ২। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা।

    আপনার মতামত দিন