গণ ধর্ষণের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ: রবিবার জয়পাড়ায় মানববন্ধন

1763

ঢাকার দোহার উপজেলার মুকসেদপুর ইউনিয়নের রুইথা এলাকায় ১৩ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণ হবার ৩ দিন পার হলেও কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারে নি দোহার থানা পুলিশ। এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে পরিবারটির পক্ষ থেকে। মেয়েটি দোহার উপজেলার মধুরখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী ।

ধর্ষণের  শিকার কিশোরীর বাবা মফজেল শেখ বাদী হয়ে স্থানীয় ৫ বখাটের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছে। বুধবার বিকেলে দোষীদের গ্রেফতার ও বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় গত মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরীটি তার নানাবাড়ি মুকসুদপুরে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার বালুরচকে এলে স্থানীয় বখাটে মো. সিরাজ (৩২), সাদ্দাম (২৭), মো. সুরুজ (২৯), রানা (২৮) ও মো. সেলিম (২৬) রাস্তার মধ্যে থেকে কিশোরীর গলায় চাকু ঠেকিয়ে একটি পাশের বসতিতে নিয়ে যায়। তারপর মেয়েটির গলায় একজন চাককু ঠেকিয়ে রাখে আর ধর্ষণ করে। এরপর প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার মেডিকেল অফিসার ডা. জসিম উদ্দিন মেয়েটির প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না তা পরীক্ষার করার জন্য ঢাকা মিডফোর্ট হাপাতালে পাঠান। মেয়েটির অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তারে আইসিওতে ভর্তি করে । বুধবার সকালে মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে পুলিশ তার জবানবন্দী নেয় । ঘটনার পরদিন বুধবার বিকালে এলাকাবাসী ধর্ষকদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

ধর্ষণকারী সুরুজ ও সেলিম উপজেলার মধূর খোলা গ্রামের বাসীন্দা এবং রানা ও সিরাজ উপজেলার রুইতা গ্রামের বাসীন্দা।

এ বিষয়ে দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সিরাজুল ইসলাম ঘটনার স্বীকার করে বলেন, “জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

পাশবিক নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা মফজেল শেখ বলেন,আমি একজন ভ্যান চালক। আমার আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নেই। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের সঠিক বিচার দাবি করছি।” এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ১ নভেম্বর রবিবার জয়পাড়াতে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে মুকসুদপুর এলাকাবাসী (আপডেট)।

আপনার মতামত দিন