একাদশ জাতীয় নির্বাচনঃ তিনের বেশি আসনে প্রার্থী হতে পারবেন না কেউ

    191

    সংসদ নির্বাচনে তিনটির বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না একজন ব্যক্তি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশেও (আরপিও) এ বিধান রয়েছে। তবে এক ব্যক্তি কতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন, তার সীমারেখা নেই সংবিধানে। এ কারণে সংবিধান সংশোধন করে আরপিওর সঙ্গে সমন্বয় করতে বুধবার একটি বেসরকারি বিল সংসদের বৈঠকে উত্থাপনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

    সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব’ সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    সংশোধনী চাওয়ার কারণ হিসেবে স্বতন্ত্র এই সাংসদ তাঁর প্রস্তাবে উল্লেখ করেছেন, সংবিধানে বলা আছে, একই সময়ে এক ব্যক্তি দুই বা ততোধিক নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রার্থী হতে পারবেন। অর্থাৎ একই ব্যক্তি একই সময়ে ১০০ বা ২০০ যে কয়টি আসন থেকে ইচ্ছা নির্বাচন করতে পারবেন। আবার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা আছে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রার্থী হতে পারবেন। এতে সংবিধান ও আরপিওর বিধানে সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হয়েছে। তাই তিনি যুক্তিসংগত কারণে আরপিওর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংবিধানের সংশোধন চেয়েছে।

    রুস্তম আলী ফরাজীর প্রস্তাবিত ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল, ২০১৭’-তে সংবিধানের ৭১ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন সংবিধান অনুযায়ী একজন ব্যক্তি ‘দুই বা ততোধিক’ আসন থেকে নির্বাচন করার সুযোগ আছে। এই শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘অনধিক তিন’ শব্দ প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করেছেন রুস্তম আলী ফরাজী।

    অন্য খবর  ঢাকা-১: বিএনপির দলীয় প্রার্থী না থাকায় নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ

    এ ব্যাপারে  তিনি জানান, সংবিধানে বলা আছে, একজন ব্যক্তি দুই বা ততোধিক আসন থেকে নির্বাচনের সুযোগ পাবেন। এর অর্থ এক ব্যক্তি ৩০০ আসনেও দাঁড়াতে পারেন। আগে নির্বাচনী আইনে সর্বোচ্চ পাঁচটি থাকলেও ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ রাখা হয়েছে। সংবিধানে যে সুযোগ থাকে আইন দিয়ে তা রোধ করা যায় না। তাই তিনি এ সংশোধনের প্রস্তাব করেছেন।

    জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে গতকালের বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী, ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া, মো. কবিরুল হক এবং মোহাম্মদ আবদুল মুনিম চৌধুরী।

    আপনার মতামত দিন