আড়িয়ল বিলেই হতে পারে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর!

901

জোবায়ের শরিফ, নিউজ৩৯ঃ
অবশেষে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে ফের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়ল বিল নির্ধারিত হতে যাচ্ছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য আমরা কিছু জায়গা বাছাই করে রেডি (প্রস্তুত) রেখেছি। পদ্মার ওপারে শিবচরের চরজানাজাতও ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এত লোক উচ্ছেদ করে আমি বিমানবন্দর করব না।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমে যে স্থানটি ঠিক করেছিলাম আড়িয়ল বিল, সেখানে এখন চেষ্টা চলছে। এখন সেখানকার লোকজন স্বেচ্ছায় জায়গা দিতে চাচ্ছেন। এখন আমরা কোথাও কিছু করলে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে, তাদের মতামতের ভিত্তিতেই করব।’

‘আমরা আড়িয়ল বিল নিয়ে চিন্তা করছি। কিন্তু এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন প্রয়োজন।’

সিনিয়র সচিব আরও বলেন, ‘(আড়িয়ল বিল এলাকার) স্থানীয়রা এখন মিছিল-মিটিং করছেন। তারা বলছেন, আমাদের এখানে করেন। স্মারকলিপিও দিয়ে গেছেন।’

বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আড়িয়ল বিলে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান কাজ করছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বোঝাচ্ছেন। আগে বিমানবন্দর করতে না দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী কষ্ট পেয়েছেন, তাই তিনি এখন রাজি হচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী এখন বলছেন, তারা একবার না করে দিয়েছে, করতে দেয়নি। এখন চাইছে, দেব না। শিল্প উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীকে নরম করার চেষ্টা করছেন।’ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে।

অন্য খবর  ৬০ বছর পর ‘বন্ধুর’ সাথে দেখা: পাকিস্তানি প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বললেন সালমান এফ রহমান

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য কয়েকটি স্থান প্রাথমিকভাবে বাছাই করে সেই সেল।কিন্তু একটি স্থানও পছন্দ করেননি প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি ঢাকার আশপাশে স্থান নির্বাচনের নির্দেশ দেন। ঢাকার দোহার উপজেলার চরবিলাশপুর, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ও লতব্দী, আড়িয়ল বিল, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চর জানাজাত, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, মাদারীপুরের রাজৈর, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বাঘিয়ার বিল, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এবং মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরকে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য স্থান হিসেবে বেছে নেয় নতুন বিমানবন্দর গঠন সংক্রান্ত সেল।

স্থানীয়রা আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা শুরু করেন ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, তখন স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। নিহত হন এক পুলিশ সদস্যও। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণ হবে না বলে ঘোষণা দেন।

আপনার মতামত দিন