আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জাপানের তিমি শিকারের সিদ্ধান্ত

670

আগামী বছর থেকে আবারও অ্যান্টার্কটিকায় তিমি শিকার শুরু করবে বলে এক ঘোষণায় জানিয়েছে জাপান। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) জাপানকে সব ধরনের তিমি শিকার বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরও দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাপান সরকার জানিয়েছে, সংশোধিত নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ছোট আকারের মিঙ্কি তিমি শিকার বছরে দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনবে। অর্থাৎ আগে যেখানে এক হাজার মিঙ্কি তিমি শিকার করতো তা কমিয়ে ৩শ’ ৩৩-য়ে নামিয়ে আনা হচ্ছে এবং আদালতের রায় বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাপানের দাবি, তাদের এই পরিকল্পনা বৈজ্ঞানিকভাবেই পরিমিত ও গ্রহণযোগ্য।

তবে এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষোভের জন্ম দিতে পারে। ইতিমধ্যেই কিছু পরিবেশবাদী সংগঠন এবং অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের সরকার জাপানের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্য সরকার বলছে, “জাপান সরকারের আবারও তিমি শিকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। আন্তর্জাতিকভাবে যে তিমি শিকার নিষিদ্ধ এটার অবমাননা করে এ সিদ্ধান্ত”।

অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেন, “তথাকথিত বৈজ্ঞানিক গবেষণার অংশ হিসেবে তিমি শিকারের এই ধারণা আমরা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারিনা”।

১৯৮৭ সাল থেকে জাপান তিমি শিকার কর্মসূচি চালু করে। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিকভাবে এই কর্মসূচি সমালোচনার মুখে পড়ে। ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে জাপানের বিরুদ্ধে তিমি শিকার সম্পর্কিত একটি মামলায় জয়ী হয় অস্ট্রেলিয়া। জাপানের ‘বৈজ্ঞানিক তিমি শিকার’ কর্মসূচি যে আসলে বৈজ্ঞানিক নয় এটি আদালতে রায়ে বলা হয়। আইসিজে জাপানকে সব ধরনের তিমি শিকার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে জানায়, দেশটি ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৩৬০০ মিঙ্কি তিমি শিকার করে আসছে

আপনার মতামত দিন