অস্তিত্বহীন মন্দির সংস্কারের নামে অর্থ আত্মসাৎ: নবাবগঞ্জ নয়নশ্রী ইউপি সচিবসহ গ্রেফতার দুই

1390

অস্তিত্বহীন মন্দির সংস্কারের নামে অর্থ আত্মসাতের পৃথক মামলায় নবাবগঞ্জ নয়নশ্রী ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. ফিরোজ আলম ও দেবদুলাল হাজরাকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদকের উপ-পরিচালক শেখ মো. আবদুস ছালাম নবাবগঞ্জ থেকে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করেন। মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

দুদক সূত্র জানায়, মো. ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা রয়েছে। গতবছর ১২ অক্টোবর দুদক ফিরোজ আলমসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নয়নশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের সচিবসহ অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ঢাকা জেলা পরিষদের ২১ লাখ ৪৯ হাজার ১শ’ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা স্পষ্টতই অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার। মামলায় ফিরোজ আলম ও সহযোগী আসামিদের বিরুদ্ধে আÍসাতের প্রমাণাদি বিনষ্টেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এজাহারটি দায়ের করা হয়। মামলা তদন্ত করছেন উপ-পরিচালক শেখ আবদুস ছালাম।

এদিকে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের হওয়া আরেক মামলায় দেবদুলাল হাজরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারে দেবদুলালের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোনো মন্দিরের অস্তিত্ব না থাকলেও দেবদুলাল হাজরা জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করেন। স্টুডিও থেকে বিভিন্ন জনের পাসপোর্ট সাইজের ফটো সংগ্রহ করে তাদের স্বাক্ষর জাল করে ঢাকা জেলা পরিষদে মন্দির সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দের আবেদন করেন। অস্তিত্বহীন মানুষদের দিয়ে মন্দির পরিচালনা কমিটি গঠন করেন। এটি দাখিল করে তিনি ও অন্য আসামিরা দি সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৫শ’ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাৎ করেন। এ মামলায় আরও ১১ জন আসামি রয়েছেন। তবে তদন্তে আসামির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সূত্র। মামলাটি তদন্ত করছেন উপ-পরিচালক শেখ আবদুস ছালাম।

আপনার মতামত দিন